জেনে নিন কেন লবণ কম খাবেন?

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০২:০৫

লবণ

লবণ শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি হলেও অতিরিক্ত লবণ স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। দেখা গেছে, যারা লবণ কম খায়, তাদের ৮০ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপ নেই। তাই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি লবণ গ্রহণ করা ঠিক নয়। লবণের কারণে শারীরিক ক্ষতি হলে সেটি তাৎক্ষণিকভাবে টের পাওয়া যায় না। দীর্ঘ মেয়াদে নীরবে ক্ষতি করে যায়। তাই বলে খাবার থেকে লবণ একেবারে বাদ দেওয়া যাবে না। কারণ লবণের অভাবে রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা ছাড়াও নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।

আরও পড়ুন>>> ফল খাওয়া কখন শরীরের জন্য ভালো?

লবণ গ্রহণের পরিমাণ:  দিনে এক চা-চামচ বা পাঁচ গ্রামের কম লবণ গ্রহণ রক্তচাপ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, স্ট্রোক ও করোনারি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি____

১. প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির রোগ, পক্ষাঘাতসহ নানা জটিল অসুখ হতে পারে।

২. ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি কমে যায় বা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৩. হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয়ে হাড় পাতলা বা অস্টিওপোরোসিস হতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই পাতলা হাড়গুলোর ভঙ্গুরতা বৃদ্ধি পায়, যা জোড়া লাগতে অনেক সময় লাগে।

 ৪. কখনো হাত ও পায়ে পানি জমে, শরীরে ফোলা ভাব হয়।

করণীয়

১. অনেক ফলেই মানুষ সামান্য লবণ মিশিয়ে খায়। এতে তেমন সমস্যা নেই। কিন্তু শরীরে অন্য সমস্যা থাকলে সাবধান হতে হবে। যেমন—প্রেশারের সমস্যা থাকলে লবণ খাওয়া উচিত নয়। কারণ লবণ খেলে ব্লাড প্রেশার বাড়ে। একইভাবে হার্টের সমস্যা থাকলে লবণ এড়িয়ে চলা ভালো।

২. প্রতিদিন রান্নায় যে লবণ ব্যবহার করা হয় তাতেই দেহের চাহিদা মেটে। পাতে বাড়তি লবণ একদম নয়। খাবার টেবিলেও কোনো লবণদানি রাখবেন না। চিপস, সস, চিজ, স্ন্যাকসজাতীয় খাবারে লবণ বেশি থাকে। তাই স্ন্যাকস হিসেবে কম লবণযুক্ত খাবার বেছে নিন।

৩. বিট লবণ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন। দীর্ঘদিন ধরে বিট লবণ খেলে হতে পারে ফ্লুরোসিস রোগ। ফ্লুরোসিসের কারণে দাঁতের বাইরের অংশ অর্থাৎ এনামেলে অসংখ্য ছিদ্রের সৃষ্টি হয় এবং দাঁতকে ক্ষতিগ্রস্ত করে থাকে। ফ্লুরোসিসে আক্রান্ত দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায়। শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top