যেসব কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে, কী করবেন

শাকিল খান | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৩, ২৩:০৪

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সময়ে ব্যাক পেইনের সমস্যায় অনেকে ভুগছেন। একটানা শুয়ে থাকা, কম্পিউটারে বসে কাজ করা, কঠোর পরিশ্রম করা, ফ্র্যাকচার, ইনফেকশন, টিউমারসহ বিভিন্ন কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে।

সাধারণত ব্যাক পেইন শুধু পিঠে ও মেরুদণ্ডে যন্ত্রণা দিয়েই শেষ হয়ে যায় না। এরসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজম না হওয়া, বমি ভাব ইত্যাদিও চলে আসে। আসুন জেনে নিই যেসব কারণে ব্যাক পেইন হতে পারে-

১. কঠোর পরিশ্রমের ফলে অনেকের ব্যাক পেইন হতে পারে। ভারী বস্তু উত্তোলন, পিঠে টান খাওয়া বা মোচড় লাগা থেকেও ব্যাক পেইন হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত একটু বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যায়। এ ছাড়া হালকা ব্যায়াম করা যেতে পারে।

২. কশেরুকা হলো মেরুদণ্ডকে ঘিরে থাকা চাকতি আকারের হাড়। এই হাড়গুলো একে অপরের সাথে সংযুক্ত। প্রতিটি কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানগুলোতে ডিস্ক নামক টিস্যু থাকে এবং কশেরুকাগুলোকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে। এই ডিস্কে আঘাত পিঠে ব্যথার সাধারণ কারণ।

৩. স্পাইনাল অস্টিওআর্থারাইটিস পিঠে ব্যথার একটি সম্ভাব্য কারণ। এই রোগে আপনার পিঠের নিচের জয়েন্টগুলোর কারটিলেজের অবনতি ঘটে যার কারণে মেরুদণ্ড চেপে আসতে পারে বা সংকীর্ণ হতে পারে, যা ব্যথার কারণ।

৪. হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস এবং হাড় পাতলা হয়ে যাওয়াকে অস্টিওপোরোসিস বলা হয়। এতে আপনার কশেরুকার ছোটো ছোটো ফাটল হতে পারে যেগুলো গুরুতর ব্যথার কারণ।

৫. আপনার বয়স হিসেবে, সোজা বা গোলাকার ডিস্কগুলো, যা প্রতিটি কশেরুকার মধ্যে ফিট থাকে— তারা কুশনিং ক্ষমতা হারিয়ে ফেললে একটি ব্যাকবোন অন্যটির বিরুদ্ধে ঘর্ষণ তৈরি করে, তখন ব্যাক পেইন হতে পারে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top