ছাদ বাগানে বেল চাষ পদ্ধতি

বেল আমাদের নিকট অনেক পরিচিত একটি ফল। বেল পেটের পীড়ায় অত্যন্ত উপকারী। অতি গরমে অনেকে বেলের শরবত খেয়ে থাকেন। বেল যেমন দেহে হজমশক্তি বাড়ায়, তেমনি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এমনকি আমাশয় নিরাময়ে অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে।

বীজের চারা রোপণ নির্মল থাকায় এই ফল চাষে চাষীদের অনাগ্রহ দেখা যায়। কারণ বীজের চারা থেকে বেল ধরতে অনেক সময় লাগে। তবে কলম এর মাধ্যমেও বেলের বংশবিস্তার সম্ভব। ৩/৪ বছরের ফল ধরে কলমের চারাতে। তবে ছাদেও বেল চাষ করা যায় কলমের মাধ্যমে। চলুন দেখে নেয়া যাক এর চাষ পদ্ধতি-

বেল চাষ পদ্ধতি: বেলের কলমের চারা ছাদে লাগানোর জন্য একটি হাফ ড্রাম সংগ্রহ করতে হবে। ৩-৫ টি ছিদ্র করে নিতে হবে ড্রামের তলায়। গাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে। ছোট ছোট ইটের টুকরা দিয়ে ড্রামের তলার ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।

পরে বেলে দোআঁশ মাটি ২ ভাগ, গোবর ১ ভাগ, টিএসপি সার ৮০-১০০ গ্রাম, পটাশ সার ৮০-১০০ গ্রাম, একসাথে মিশিয়ে হাফ ড্রামে ভরে ১০-১২ দিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে।

পরে মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে দিয়ে আবার ৪-৫ দিন এভাবেই রেখে দিতে হবে। মাটি যখন কিছুটা ঝুরঝুরা হবে তখন একটি সুস্থ সবল কলমের চারা উক্ত ড্রামে রোপণ করতে হবে। সোজা করে লাগাতে হবে চারাগাছটি। সাথে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে দিতে হবে এবং হাত দিয়ে মাটি চেপে চেপে দিতে হবে।

গাছের গোড়া দিয়ে যেন অতিরিক্ত পানি প্রবেশ করতে না পারে। গাছটিকে একটি সোজা কাঠি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে এবং চারা লাগানোর প্রথম দিকে পানি কম দিতে হবে। পরে ধীরে ধীরে পানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

পোকামাকড় ও রোগবালাই: বেল গাছের উল্লেখযোগ্য কোনো রোগ বালাই কিংবা পোকামাকড় নেই। তবে পাতার নিচে মাঝে মধ্যে একধরনের ছোট মাকড়সা দেখা যায়। এ জন্য ভালো কোন কীটনাশক পাতার নীচের দিকে স্প্রে করলে এই পোকার আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করা যায়।

এনএফ৭১/এমএ/২০২২