বিমান ভ্রমণের এ টু জেড জানুন

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২৩, ২২:২৪

বিমান ভ্রমণ

অনেকেই আগে কখনো বিমান ভ্রমণ করেননি। আবার অনেকেরই সচরাচর বিমান ভ্রমণ করা হয় না। তাই বিমান ভ্রমণের সঠিক নিয়ম-কানুন জানা নেই। বিমান ভ্রমণের টিপস জানার আগে জানা উচিত বিমান ভ্রমণে কি ধাপ বা পর্যায় রয়েছে। আপনি যদি এই ছয়টি ধাপ স্মরণ রাখেন বা জানা থাকে তবে আপনার বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়ে যেতে পারে আরও বেশি সুন্দর ও আনন্দময়।

১. বিমানের টিকেট বুকিং দিন

পরিবহনে যাতায়াতের জন্য যেভাবে টিকেট প্রয়োজন হয় তেমনি আপনার ডমেস্টিক কিংবা ইন্টারন্যাশনাল বিমান ভ্রমণের জন্য টিকিট প্রয়োজন। তাই বিমান ভ্রমণের দিনের এবং সময়ের সঙ্গে প্লেনের শিডিউল মিলিয়ে আপনার জন্য বিমান টিকেট বুকিং দিতে ট্রাভেলস এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

ঢাকার লোকাল-বাসের মতো বিমানে যেহেতু দাড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। সেহেতু বিমানের সিট খালি না থাকলে আপনি সেদিন আপনার কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণটি করতে পারবেন না। তাই আপনার বিমান ভ্রমণের দিনের টিকেট কাটার জন্য বেশ কয়েক দিন আগেই টিকেট বুকিং দিন।

২. বিমান ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুতি নিন

বিমানের টিকেট কাটার ঝামেলা শেষ হওয়ার কাজ শেষ হলে আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমন-ভিসা, পাসপোর্ট, ভ্রমণ রিলেটেড পেপারস।

দেশের বাহিরে ভ্রমণে জন্য আপনার ভিসা ও পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। তবে দেশের মধ্য বিমান ভ্রমণের জন্য আপনার এতো কাগজপত্র লাগবে না। টিকেট ও কেবল মাত্র আপ্নার কোন একটি আইডি কার্ড এর কপি হলেই চলবে।

দেশের বাহিরে ভ্রমণের জন্য অন্তত তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছান। আর অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান ভ্রমণ করতে চাইলে এক ঘণ্টা আগে বিমানে ভ্রমণ করলেই যথেষ্ট।

এয়ারলাইন্স ভেদে আলাদা আলাদা ওজন বহনের অনুমতি থাকে। অর্থাৎ আপনি যদি কোন লাগেজ কিংবা ব্যাগ বহন করতে চান তাহলে অবশ্যই জেনে নিন আপনি সর্বোচ্চ কত কেজি ওজনের জিনিসপত্র বহন করতে পারবেন।

৩. চেক ইন করুন

অনেকেই হয়তো জানেন এয়ারপোর্টে ঢোকার পর সর্বপ্রথম আপনাকে চেক ইন করতে হবে। অর্থাৎ আপনার ফ্লাইট খুলে দেওয়ার পর আপনি চেক ইন করতে পারবেন। চেক ইন করার পর বিমান বন্দর টার্মিনালে থাকা মনিটর এর দিকে খেয়াল রাখুন।

বিমানবন্দরে থাকা নির্দিষ্ট কর্মকর্তাদের আপনার টিকেট, ভ্রমণ সংক্রান্ত পেপারস ও পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। সব ঠিকঠাক থাকলে আপনার সঙ্গে থাকা লাগেজ জমা দিতে হবে। সেখানে আপনাকে বোর্ডিং পাস এবং লাগেজের ডকুমেন্টস হিসেবে একি কার্ড দেওয়া হবে। অবশ্যই কার্ডটি আপনার সঙ্গেই রাখুন।

৪. বোর্ডিং

এ পর্যায়ে আপনার গন্তব্য ডিপার্চার লাউঞ্জ। এখানে আপনার শরীর থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু চেক করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনার হ্যান্ড ব্যাগ ও বোর্ডিং পাসে স্ট্যাম্প দেবে।

একটি কথা মনে রাখবেন, আপনি যদি বিদেশ ভ্রমণ করে থাকেন তবে আপনার ইমিগ্রেশন চেক করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আপনাকে ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

৫. ফ্লাইটের মধ্যে যা যা করা হবে

আপনাকে ফ্লাইটে প্রবেশ করতে দেওয়া হলে আপনার সিটে বসুন। বোর্ডিং এর পাশেই আপনার সিট নম্বর দেখতে পাবেন। সব যাত্রী প্রবেশ করার পর প্লেনের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বিমানে থাকা বিশেষ দায়িত্বরত কর্মকর্তা যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিশেষ কিছু সতর্কতামুলক কথা বলবেন। সিটবেল্ট সিগন্যাল দিলে উঠে দাঁড়াবেন না। নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওঠার পর এই সিগন্যাল অফ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে তখন খাবার খেতে পারবেন কিংবা উঠে দাড়াতে পারবেন।

৬. বিমান ল্যান্ড করার সময়

বিমান মাটিতে নেমে আসাই হচ্ছে বিমান ল্যান্ডিং। ল্যান্ড করার সময় ধীরে ধীরে মাটির দিকে নেমে আসবে। মনে রাখবেন বিমান থামার সঙ্গে সঙ্গে উঠে দাঁড়ানো যাবে না। সিট বেল্ট খুলতে বলার আগে সিট বেল্ট খুলবেন না। আপনার ব্যাগ মালামাল বুঝে নিন। এবং ধীরে ধীরে টার্মিনাল ত্যাগ করুন। বিদেশ ভ্রমণের সময় আপনাকে ইমিগ্রেশন অফিসারকে আপনার পাসপোর্ট দেখাতে হবে। (লেখাটি ঢাকামেইল থেকে নেওয়া হয়েছে)




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top