এরআগে কখনও প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি

শেষ মুহূর্তে ভারত সফর থেকে বাদ পড়লেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:১০

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের সরকারি সফরে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের থাকার কথা ছিল।

কিন্তু শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ভারতে যেতে পারেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরআগে কখনও প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময় এ ধরনের (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর না যাওয়া) ঘটনা ঘটেনি।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইটটি দুপুর ১২টার পর (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান অভ্যর্থনা জানান।

সম্প্রতি ভারত নিয়ে বেশকিছু মন্তব্যের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তার এই বক্তব্য চারদিকে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়, অস্বস্তিতে পড়েন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বেশ কিছু বিষয় গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন রোববার (৪ সেপ্টম্বর) বলেছেন, দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, কোয়াড, সংখ্যালঘু নির্যাতন, পানি ভাগাভাগি, সীমান্ত সুরক্ষা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানবপাচার রোধ নিয়ে আলোচনা হতে পারে। একইসঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবর্তিত ভূরাজনীতির প্রেক্ষাপট, চীন-তাইওয়ান-যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গও আলোচনায় স্থান পেতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিতে পারে।

৭ সেপ্টেম্বর দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ বা গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের উত্তরসূরীদের ‘মুজিব বৃত্তি’ প্রদানের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

সফর শেষে ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরবেন শেখ হাসিনা।

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top