দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ক্রাউন সিমেন্টের মুক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:০৪

দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকায় ক্রাউন সিমেন্টের মুক্তি

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রাপ্ত হওয়ায় পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে মুক্তি পেয়েছে ক্রাউন সিমেন্ট কনক্রিট অ্যান্ড বিল্ডিং প্রোডাক্টস লিমিটেড।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ক্রাউন সিমেন্ট কনক্রিট অ্যান্ড বিল্ডিং প্রোডাক্টস লিমিটেড নামে প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র প্রাপ্ত হওয়ায় পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের তালিকা হতে বাদ দেওয়া হয়েছে। সভার বিরুলিয়ার দেউরে অবস্থিত ক্রাউন সিমেন্ট কনক্রিট অ্যান্ড বিল্ডিং প্রোডাক্টস লিমিটেডকে দূষণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৫ সালে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

এর আগে দেশের অন্যতম বৃহৎ সিমেন্ট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ক্রাউন সিমেন্টকে ২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকায় বায়ু দূষণের দায়ে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। পরিবেশ অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মুনির চৌধুরী এ জরিমানা করেন। একইসঙ্গে সাত দিনের মধ্যে বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।

সিমেন্ট কারখানার ক্লিংকার লোড-আনলোডসহ সার্বিক উৎপাদন কার্যক্রমে ব্যাপক বায়ু দূষণ ঘটে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে সিমেন্ট কারখানা লাল শ্রেণিভুক্ত প্রতিষ্ঠান। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সিমেন্ট কারখানায় ডাস্ট কালেক্টরসহ দূষণ নিরোধক যন্ত্রপাতি ব্যবহার বাধ্যতামূলক। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ। জীব বৈচিত্র্যের ক্ষতিসহ পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য প্রতিকূল।

নিয়মানুযায়ী, দূষণের দায়ে কোনো প্রতিষ্ঠানের জরিমানা হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের তালিকায় উঠে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর অধিদপ্তরের দেওয়া তালিকা থেকে পরিবেশ সুরক্ষার সারচার্জ আদায়ের লক্ষ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। নিজ নিজ দেশের আইনি বাধ্যবাধকতা থাকায় ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা পরিবেশ দূষণকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পণ্য কিনতে পারবে না। এ কারণে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম মানলেও দেশীয় বাজারে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো তেমন কোনো নিয়ম মেনে চলে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top