খালেদা-তারেক দুজনই নির্বাচনের অযোগ্য

বিএনপি হারার ভয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দ্বিধাগ্রস্ত: ওবায়দুল কাদের

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৫৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও খালি মাঠে গোল দিতে চায় না, আওয়ামী লীগ চায় প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

আইনের দৃষ্টিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দুজনেই নির্বাচনের অযোগ্য উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, আর যার নেতৃত্বে বিএনপি সুসংগঠিত বলে মির্জা ফখরুল দাবি করেন, সেই তারেক রহমানতো দুর্নীতির বরপুত্র, দণ্ডিত পলাতক আসামি।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, রাজনীতি না করার শর্তে যিনি মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন, বিপদ দেখে এমন পলায়নপ্রিয় আর পলাতক আসামি কীভাবে বিএনপির নেতা হয়?

আওয়ামী লীগ নাকি সন্ত্রাসী দল, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশ-বিদেশে স্বীকৃত সন্ত্রাসী দল। কানাডার আদালতেও বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকার এবং আওয়ামী লীগের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।

সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস তারাই করে, যারা জনবিচ্ছিন্ন এবং আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ। জনকল্যাণে যাদের কোনও ইতিবাচক কর্মসূচি থাকে না, তারাই সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্রকে ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নেয়—বিএনপিও তাই করছে।

সরকার নাকি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী চায় না, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই নির্বাচনকে ভয় পায়। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা নিয়ে তাদের যত ভয়।

সরকার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটি কোনও সুযোগ নয়, এটি একটি অধিকার, কিন্তু বিএনপি পরাজয়ের ভীতিতে আক্রান্ত, তাই তারা নির্বাচনে আসে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিশনকে তারা বিতর্কিত করতে চায় এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যমূলক অপতৎপরতা চালায়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের সময় কমিশন গঠনে তারা কী কারও মতামত নিয়েছিল? কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছিল?

তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সাদেক আলী ও আজিজ মার্কা অজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সোয়া এক কোটি ভুয়া ভোটার তালিকাবদ্ধ করে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছিল কারা? দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়েছিল কারা?  বিএনপি কী এসব ভুলে গেছে?

তিনি বলেন, বিএনপির সময়ে নির্বাচন কমিশন গঠনে কোনও মতামত নেওয়া হয়নি, কোনও সংলাপ করা হয়নি। আজ্ঞাবহ কমিশন গঠনে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএনপি।

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top