সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ, এক নতুন অভিজ্ঞতা

জেলা পরিষদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ-সুশৃঙ্খল হয়েছে, আমরা সন্তুষ্ট: সিইসি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৪৭

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, আমরা সন্তুষ্ট। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সিসিক্যামেরা ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। কোথাও কোনো অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগের চিত্র আমাদের চোখে পড়েনি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ হাওয়ার পর নির্বাচন ভবনে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা টেলিফোনেও নির্বাচন সুন্দর হওয়ার খবর পেয়েছি। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। এ কার্যক্রম আগামীতে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

নির্বাচন কমিশনের অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, প্রথম থেকেই বলে আসছি, আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে, ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন কি না, তা দেখা।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন, আজ ভোটকক্ষে কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করেননি। ভোটাররা অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ভোট দিয়েছেন। আমরা পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম আরও সমৃদ্ধ করেছি। ক্যামেরার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।

বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের বিষয়টি নির্বাচনী সংস্কৃতিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিশ্লেষণে আমরা এখনো যাইনি, এটা আমাদের বিষয়ও নয়। এটা রাজনীতিবিদরা বুঝবেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না।

নির্বাচন সুষ্ঠু হতে সিসি ক্যামেরা নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে কি না- জানতে চাইলে সিইসি বলেন, হতে পারে, কারণ গাইবান্ধায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে আমাদের পর্যবেক্ষণ ছিল। সেখানে আমরা বেশ গুরুতর অনিয়ম দেখতে পাই। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে কমিশন পুরো নির্বাচন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ওই ঘটনায় হয়তো একটা বার্তা এসেছে। সিসি ক্যামেরা দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ যেভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়- তাতে গুরুতর অনিয়ম ধরা পড়লে নির্বাচন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমাদের মনে হয়, গাইবান্ধার ঘটনায় একটি ইতিবাচক প্রভাব এ নির্বাচনে পড়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এবার ছোট পরিসরে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করেছি। বড় পরিসরে বড় সক্ষমতার দরকার হয়। সে ধরনের সক্ষমতা তৈরির চেষ্টা নিশ্চয়ই আমাদের থাকবে।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় দুপুর ২টায়। এক হাজার ৪০০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন ভবন থেকে পুরো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি।

এবারের জেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫৭টি জেলার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৯২ জন, সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন ও সংরক্ষিত পদে ৬০৩ জন রয়েছেন। ৫৭টি জেলায় সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৪৮টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৬৬টি। ভোটকেন্দ্র ৪৬২টি ও ভোটকক্ষ ৯২৫টি। মোট ভোটার ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।

এছাড়া নির্বাচনে ২৬ জন চেয়ারম্যান, ১৮ জন মহিলা সদস্য এবং ৬৫ জন সাধারণ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচন আদালতের নির্দেশনায় স্থগিত করা হয়েছে। ভোলা ও ফেনী জেলার সব পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে এ দুই জেলায় কোনো নির্বাচনের প্রয়োজন হচ্ছে না।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top