মেট্রোরেলে ১২ হাজার কর্মসংস্থান হবে: প্রধানমন্ত্রী

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৫:৩৫

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুধী সমাবেশের মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন। তার আগে তিনি উদ্বোধনীস্থলে পৌঁছান।

বুধবার দুপুরে সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল নিজেই একটি মাইলফলক। এই ট্রেনের মাধ্যমে দ্রুতগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। মেট্রোরেলের কল্যাণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আমরা দেখেছি ডিএমটিসিএলের আওতায় ১২ হাজার প্রকৌশলী ও মাঠ-প্রকৌশলীর কর্মসংস্থান হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, স্বপ্নের মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের অহংকারের মুকুটে আরেকটি পালক যুক্ত হলো। নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দিয়েছিলেন জনগণ। এজন্য সবাইকে শুভেচ্ছা। এর মধ্য দিয়ে আজ আবার প্রমাণিত হলো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়।

আরও পড়ুন: মেট্রোরেল আ. লীগ সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে: ব্লুমবার্গ

তিনি বলেন, প্রতি মেট্রো ট্রেনে নারীদের জন্য আলাদা বগি থাকবে, আলাদা টয়লেট থাকবে। বাচ্চাদের পরিচর্যা করার সুযোগ থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুরোপুরি ফ্রি চলাচল করবেন। এই রেল চালুর ফলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারিত হবে।  আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা হবে এই মেট্রোরেল।

প্রধানমন্ত্রী স্মারক ডাকটিকিট এবং মেট্রোরেলের প্রথম দিনের কাভার উন্মোচন করেন। সেই সঙ্গে উন্মোচন করেন ৫০ টাকার স্মারক নোট। এরপর প্রধানমন্ত্রী প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠেন। এ সময় দুই শতাধিক ব্যক্তি তার সঙ্গী হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top