পুলিশ ও আইনপ্রণেতাদের অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে
অপব্যবহার হলেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, ০৯:৫০
আনিসুল হক বলেছেন, এটা প্রয়োজনীয় আইন। এ আইনের অপব্যবহার হয়, এটাও স্বাভাবিক। ১৮৬০ সালে পেনাল কোড হয়েছিল। ওই খানে ৩৭৯ ধারা আছে। যেটাকে বলা হয় চুরির ধারা। চুরি করলে তিন বছরের জেল। ১৮৬০ সালে জেল দেয়া হয়েছিল। আমরা কী চুরি বন্ধ করতে পেরেছি? আগে গ্রিল ছাড়া বাসায় থাকতাম, এখন তিনটা গ্রিল দিতে হয়। তাই, বলে কী অপরাধ বন্ধ করার জন্য সরকার সচেষ্ট হবে না, হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার ও জনগণ চাইলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের উন্নয়নে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু অনেকেই এ আইনকে অপরাধের উদ্দেশে ব্যবহার করছেন, এটাও স্বাভাবিক। তখন অধিকার সুরক্ষার জন্য অপব্যবহার বন্ধ করতে আইন প্রণয়নের প্রয়োজন আছে। আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট যেটা করেছি, সেটা প্রথমটা ছিল লিগ্যালাইজিং সিগনেচার আইসিটি অ্যাক্ট। সেটা ছিল আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, এরপর আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গেছি। কী কারণের ডিজিটাল আইন, কেন করা হয়েছিল আমরা সেই কথাগুলো বলি না। আমরা শুধু বলি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মাধ্যমে বাক-স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। বলা হয়, এটা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের জন্য করা হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>পদযাত্রা নয়, বিএনপির মরণযাত্রা শুরু হয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের
আনিসুল হক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে অপরাধ করা যায়, সে ব্যাপারেও চেষ্টা হবে। কারণ অপরাধীরা সবসময় একধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করে। পুলিশ ও আইনপ্রণেতাদের এখন প্রকৃত অপরাধীদের থেকে দুই ধাপ এগিয়ে থাকার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি এর অপব্যবহার হয়েছে। অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নিয়েছি। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের যে ফোর্স যাদের এটা দেখার দায়িত্ব, তারা কিন্তু প্রশিক্ষিত হচ্ছে। আমার মনে হয়ে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলার শেষদিনে ‘নিরাপদ ডিজিটাল সমাজ: রাষ্ট্রের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন আনিসুল হক।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।