বৈশাখী তান্ডব চলছে বাংলা জনপদে
প্রচণ্ড গরমে সারাদেশে বিপর্যস্ত জনজীবন
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৩৯
প্রচণ্ড রোদে বিপর্যস্ত ও দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র গরমে পুড়ছে জনপদ, মাঠ-ঘাট ও শষ্যের ক্ষেত। কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই। চামড়া পোড়ানো তীব্র রোদ, গরম আর আগুনের হল্কার মতো বাতাস যেন সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। বৈশাখী তান্ডব চলছে জনপদে, সূর্যের প্রখরতা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
সকালে সুর্য উঠার সাথে-সাথে বাড়ছে তীব্র রোদ। বেলা বাড়ার সাথে-সাথে এ রোদ যেন আগুনের ফুলকি হয়ে ঝরছে। দুপুরের পর আগুনঝরা রোদে বাইরে বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে। যাঁরা বাধ্য হয়ে বের হয়েছেন, তাঁরা টের পেয়েছেন গরমে নাভিশ্বাস ওঠা কাকে বলে। ঘরের ভেতরও গুমোট অবস্থা। এরমধ্যে বিদ্যুৎ গেলে তো কথাই নেই, একেবারে সেদ্ধ হওয়ার দশা।
অসহনীয় তাপ, রৌদ্রযন্ত্রনা সেই সাথে পানি সঙ্কটে জনজীবনকে আরও এক ধাপ বিপর্যয়ের মুখে নিক্ষিপ্ত করছে। ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির, ঝলসে যাচ্ছে ক্ষেতের ফসল। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলেও তেমন পানি উঠছে না।
প্রচন্ড গরম, আর তাপদাহে জনজীবন হাঁসফাঁস করছে। গরম কেবল জনজীবনেই অস্থিরতা আনছে না, বরং নানান ধরনের রোগও ছড়িয়ে পড়ছে।
শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই এখন অগ্নিগর্ভ। দেশের তাপমাত্রাও ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে গতকাল। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নেই মেঘ-বৃষ্টি। বাতাসে আর্দ্রতা অস্বাভাবিক কম থাকায় গরম প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়ে বেশি পোড়াচ্ছে মানুষকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আক্কু ওয়েদারের তথ্য বলছে, গতকাল বিকেল ৩টায় ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গরমের তীব্রতা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো অনুভূত হয়েছে। সঙ্গে আর্দ্রতার পরিমাণও ছিল কম, মাত্র ১৮ শতাংশ। ফলে তীব্র গরম ও শুষ্ক বাতাস মিলেমিশে মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গরমের এই তীব্রতা আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে দ্রুত এ সময়কে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ঘোষণা করা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।