মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত
পবিত্র লাইলাতুল কদর আজ
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ২০:১৯
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাত মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত একটি রাত। প্রতিবছর পবিত্র রমজানের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে শবে কদর পালন করা হয়। এই রাত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।
এই রাতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুসারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা হয় এবং মানবজাতির ভাগ্য পুনর্র্নিধারণ করা হয়। তাই মুসলমানদের কাছে এ রাত অতীব পুণ্যময় ও মহিমান্বিত।
২০ রমজানের পর যেকোনো বিজোড় রাত কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজানের দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে আলেমদের অভিমত। কদরের এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয় এবং এই রাতকে কেন্দ্র করে কোরআনে ‘আল-কদর’ নামে একটি সুরাও আছে।
‘শবে কদর’ কথাটি ফারসি। শব মানে রাত বা রজনী আর কদর মানে সম্মান, মর্যাদা, গুণ, সম্ভাবনা, ভাগ্য ইত্যাদি। শবে কদর অর্থ হলো মর্যাদার রাত বা ভাগ্যরজনী। শবে কদরের আরবি হলো লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত।
পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, অন্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়। তাই বিশ্বের মুসলমানরা নিজেদের গুনাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। শবে কদর উপলক্ষে ২৭ রমজান সরকারি ছুটি রয়েছে।
মহিমান্বিত এ রাতে যেমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল রয়েছে, তেমনই রয়েছে বর্জনীয় বিষয়ও। চলুন জেনে নেওয়া যাক পবিত্র এ রাতের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ।
শবে কদরের করণীয় আমল
(১) সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা (২) মাগরিবের নামাজের পর নফল নামাজ আদায় করা (৩) কোরআনুল কারিম তেলাওয়াত করা (৪) বেশি বেশি জিকির-আজকার করা (৫) বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ করা (৬) কৃত গুনাহের জন্য কান্নাকাটি করা এবং গুনাহ থেকে মাফ চাওয়া (৭) কোনো মানুষকে কষ্ট দিয়ে থাকলে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া (৮) বেশি বেশি দান-সদকা করা (৯) মা-বাবা এবং মুরব্বিদের কবর জেয়ারত করা।
এ রাতে বর্জনীয় বিষয়সমূহ
(১) অবহেলায় এ রাত কাটিয়ে না দেওয়া (২) শুধু ঘুমিয়ে রাত কাটিয়ে না দেওয়া (৩) আলসেমি করে ইবাদতহীন বসে না থাকা (৪) মানুষের প্রতি হিংসা-বিদ্বেষ না রাখা (৫) আতশবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকা (৬) গোল্লা ফোটানো থেকে বিরত থাকা (৭) দলবেঁধে আড্ডাবাজি না করা (৮) সবাই মিলে চিৎকার-চেঁচামেচি এবং হৈ-হুল্লোড় না করা (৯) যাবতীয় গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকা।
বিষয়: লাইলাতুল কদর শবে কদর newsflash71
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।