কারও খবরদারির কাছে নতজানু হব না, এটাই সিদ্ধান্ত
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২৩, ০০:৩৭
‘কারও খবরদারির কাছে নতজানু হব না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ অন্য কারও ব্যাপারে হস্তক্ষেপে আগ্রহী না। তাই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কেউ হস্তক্ষেপ করুক তা চায় না ঢাকা।’ স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স-এসএসএফের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার বিশ্বে সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের নীতি অনুরসরণ করে চলেছে। দেশের উন্নয়নে যখন যা প্রয়োজন তার সবই করা হচ্ছে।’
যুদ্ধে বিজয় অর্জন করে আমরা আমাদের দেশ পেয়েছি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, কারও খবরদারির কাছে নতজানু হব না। এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। স্বাধীন সার্বভৌম দেশ আমাদের, স্বাধীন জাতি আমরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখন ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করি তখন মাত্র এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ছিল। সেটা বাড়িয়েছিলাম ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটাকে ৩ হাজার ৯০০ মেগাওয়াটে কমিয়ে আনে। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রত্যেক ঘরে ঘরে আলো জ্বলবে। আমরা সেটা করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছি আমরা; যা শুধু আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগেনি, করোনাকালীন সময়ে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের ডিজিটাল সিস্টেম কাজে লেগেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার পূর্বে যারা ক্ষমতায় ছিল (বিএনপি) বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির কারণে তখনো বিশ্ব ব্যাংক তাদের অর্থ ফিরিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকারের সাহস ছিল না যে তাদের প্রতিবাদ করে, কিন্তু পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় তারা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যখন আমাদের উপর দোষারোপ করল আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম।
কারণ আমার কোন দূর্বলতা ছিল না। আগের সরকার পারেনি কারণ তাদের দূর্বলতা ছিল। তারা সত্যিই দুর্নীতি করেছিল। আমরা দুর্নীতি করতে আসিনি, মানুষের ভাগ্য গড়তে এসেছি।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘তখন সবাই টাকা সরিয়ে নেয়। সাথে সাথে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করব। আমরা নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করে আমাদের সক্ষমতা দেখিয়ে দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি একটা কথা বলতে পারি, এই একটা ঘটনাই কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পরিবর্তন হয়েছে। আগে যেমন প্রতিটি ক্ষেত্রে শুধু শর্ত আর শর্ত আর নানা কথা, এখন আর সেটা করতে কেউ সাহস পায় না। বাংলাদেশকে এখন সকলেই সমীহর চোখে দেখে। আমি মনে করি, এই আত্মবিশ্বাস নিয়েই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। অনেক বাধা, অনেক ষড়যন্ত্র হবে, বার বার এসেছে সেগুলো অতিক্রম করেই তো আমরা বিজয় অর্জন করেছি।
এখনো অনেক বাধা, এখনো অনেক চক্রান্ত আছে। কারণ একটা দেশ যখন এতো দ্রুত অগ্রগতি লাভ করে সেটা হয়ত অনেকেই সহ্য করতে পারে না। সেই জন্যই হয়ত নানা ধরনের উৎপাত শুরু করে, তো সেগুলো নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।