স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে যাত্রীবাহী ট্রেন ছুটবে কাল ! সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে আরেক পালক...

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৫:২৩

ছবি: সংগৃহীত

যোগাযোগ খাতে সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হচ্ছে আরেক পালক। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) উদ্বোধন হতে যাওয়া পদ্মা রেল সংযোগে তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে। আগামী ১২ নভেম্বর উদ্বোধন হবে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নির্মাণাধীন রেলপথ। এ রুটে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তাব এসেছে। উদ্বোধনের তিন সপ্তাহ পর থেকে পদ্মা সেতুতে ট্রেন চলবে। কালুরঘাট সেতুর সংস্কারকাজ শেষে যাত্রী নিয়ে ট্রেন যাবে কক্সবাজার।

উদ্বোধনী ট্রেনে পাওয়ার কারসহ থাকবে চীন থেকে আনা ১৪টি বগি। এসব বগিতে অন্যান্য অতিথি থাকবেন। ট্রেনটি ভাঙ্গা রেলস্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর আড়াইটার দিকে। ট্রেন থেকে নেমে বিকাল ৩টায় ভাঙ্গা স্টেডিয়ামে দলের জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ দিয়ে তিনটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলওয়ে। তবে উদ্বোধনের অন্তত তিন সপ্তাহ পর ট্রেনে যাত্রী পরিবহন শুরু হতে পারে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি ভাড়াও। স্ল্যাব অনুযায়ী ভাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে এ সংক্রান্ত গঠিত কমিটি। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর ভাড়া নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার কথা রয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পদ্মা সেতুতে ঢাকা-খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও ঢাকা-যশোর রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেসে যাত্রী পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে। ট্রেন দুটি বর্তমানে ঢাকা, টঙ্গী, জয়দেবপুর, যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু, ঈশ্বরদী, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ হয়ে গন্তব্যে যায়। রেল সংযোগ চালুর পর পদ্মা সেতু হয়ে যাবে। ফরিদপুরের ভাঙ্গা-রাজশাহী রুটের ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’কে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা পর্যন্ত চালানোর প্রস্তুতি রয়েছে।

বর্তমানে ঢাকা-খুলনা রুটে ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ এবং ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ চলাচল করে। এই দুই ট্রেন যশোর হয়ে খুলনায় যায়। ঢাকা-যশোর রুটে চলাচল করে ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’। এই ট্রেনটি খুলনায় যায় না। সীমান্তবর্তী বেনাপোল জংশন পর্যন্ত যায়। ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ এবং ‘বেনাপোল এক্সপ্রেস’ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ চালুর পরদিন থেকেই চলবে না। কারণ পদ্মা রেল সংযোগের সব স্টেশন এবং সিগন্যাল এখনো প্রস্তুত হয়নি। পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হলে দূরত্ব কমবে ঢাকা-খুলনা রুটে।

বর্তমানে রেলপথে ঢাকার সঙ্গে খুলনার দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার। পদ্মা সেতু হয়ে যশোর রেলপথে যাতায়াতে রাজধানী থেকে খুলনার দূরত্ব কমবে ২১২ কিলোমিটার।

প্রকল্প সূত্র জানায়, যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণসহ পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালে জুনের মধ্যে শেষ হবে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮২ শতাংশ। পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত তিনটি অংশে রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন, ঢাকা-গেণ্ডারিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন, লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-কানেকশসসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top