শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

হাদিসহ কিলিং টার্গেটে যাঁরা, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৫১

শরিফ ওসমান বিন হাদি। ফাইল ছবি

গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাসীর গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি বর্তমানে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, হাদিসহ শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন জুলাই যোদ্ধার ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার আশঙ্কার তথ্য আগেই সরকারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু সময়মতো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি—এমন অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।

টার্গেট কিলিংয়ের তালিকায় হাদির পাশাপাশি জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদসহ আরও কয়েকজন জুলাই সংগঠকের নাম রয়েছে।

সূত্র জানায়, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী এক আইনজীবীর মাধ্যমে প্রাপ্ত এই স্পর্শকাতর তথ্য সরকারের উচ্চপর্যায়ের গোয়েন্দা সংস্থা ও দায়িত্বশীল মহলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এমনকি ওসমান হাদি নিজেও দুই জুলাই যোদ্ধাসহ হুমকির বিষয়টি সরাসরি সরকারকে অবহিত করেন।

ওই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আইনজীবী জানান, পেশাগত কারণে বিশ্বের কয়েকটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। সেই সূত্রেই তিনি নির্ভরযোগ্য তথ্য পান এবং দ্রুত ঢাকায় এসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ যুগান্তরকে বলেন,

“অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য সূত্রে পাওয়া তথ্য আমরা সরকারকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শুধু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়।”

তিনি আরও বলেন,

“নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বড় ধরনের অভিযান ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। লোক দেখানো অভিযান শেষ পর্যন্ত সবার জন্য আত্মঘাতী হবে।”

সূত্র জানায়, সরকারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে মাঠপর্যায়ের রাজনীতি ও কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা বিবেচনা করে তারা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, হাদির ওপর হামলার ঘটনায় বিদেশে অবস্থানরত সন্ত্রাসীদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। এ ঘটনায় ফিলিপ ওরফে গারো ফিলিপ নামের এক ভাড়াটে কিলারের নাম পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। ফিলিপকে আটক করা গেলে এই কিলিং মিশনের নেপথ্যে থাকা মূল পরিকল্পনাকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে ধারণা পুলিশের।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জে. (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি ও আইজিপি বাহারুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে আইজিপি বাহারুল আলম খুদেবার্তায় জানান,

“এ রকম কোনো তথ্য আমরা পাইনি।”



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top