সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত বেশ কঠিন বিষয়: আইনমন্ত্রী

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৯:৩২

ছবি: সংগৃহীত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকান্ডের তদন্তে এ পর্যন্ত ১০৭ বার সময় নিয়েছে র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডের ১২ বছর পরও বর্তমান আইনমন্ত্রী মনে করেন, প্রয়োজনে তদন্তে ৫০ বছর সময় দিতে হবে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের করা এই  মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন সাংবাদিক নেতারা। একইসঙ্গে আইনমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও জানানো হয়। রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানান বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা। এ প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে ডিআরইউ।

বক্তারা বলেন, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজবাজারের নিজ ফ্ল্যাটে খুন হন সাগর-রুনি। ঘটনার পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আশ্বাস দিলেও ১২ বছর ধরে ঝুলে আছে হত্যার তদন্ত।

ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে ১০৭ বার। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘তদন্তে যত দিন সময় লাগে সঠিকভাবে দোষী নির্ণয় করতে, তাদের ততটুকু সময় দিতে হবে। সেটা যদি ৫০ বছর হয়, ৫০ বছর দিতে হবে।’

আইনমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে ‘কাণ্ডজ্ঞানহীন’ বলে উল্লেখ করেন সমাবেশে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান। তিনি বলেন, ‘আমরা আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। আমরা ৫০ বছর অপেক্ষা করব না।’

ডিআরইউর সহসভাপতি শামীম বলেন, ‘আইনমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে আমরা মর্মাহত হয়েছি। সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কারও কাছ থেকে এমন মন্তব্য আমরা আশা করি না।’

সাগর সরওয়ারের সাবেক সহকর্মী, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক রাশেদ আহমেদ বলেন, ‘সাগর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তেল-গ্যাস, দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করত। আমরা জানি না তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব রিপোর্টের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই হত্যার তদন্ত রিপোর্ট এবং বিচার চাই।’

ডিইউজের একাংশের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত সাহারা খাতুন বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু ৪৮ দিন, ৪৮ মাস নয়, ১২ বছর পার হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে আইনমন্ত্রী বলেছেন, বিচারের জন্য ৫০ বছর লাগতে পারে।’

ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মোরসালীন নোমানী বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতি যেখানে বিদ্যমান থাকে, সেখানে কিছুই থাকে না। র‍্যাব যদি না পারে, তদন্ত প্রতিবেদন না দিতে পারে, তাহলে তারা বলে দিক।’

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top