শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেন কোটাবিরোধীরা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৪, ২৩:৪২

ছবি: সংগৃহীত
 
শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মূল গেটের সামনে পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। পরে তারা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় পার হয়ে কারওয়ান বাজার হয়ে ফার্মগেটের দিকে মিছিল নিয়ে আসেন।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে ব্যারিকেডে ভেঙে ফেলার সময় শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া’, ‘ভুয়া’ বলে স্লোগান দেন। পাশে পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন আজ রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, চাঁনখারপুল মোড়, ঢাকা মেডিকেল মোড় ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টানের মোড় অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। এতে প্রতিটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট।

আজ দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগ থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে মিছিল নিয়ে সংগঠিত হন শিক্ষার্থীরা। বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে একটি অংশ এসে অবরোধ করেন। বাকিরা বাংলামোটর, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের মোড় অবরোধ করেন।

চাঁনখারপুল মোড় ও ঢাকা মেডিকেল মোড় অবরোধ করেন ঢাবির শহীদুল্লাহ্ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল ও অমর একুশে হলের শিক্ষার্থীরা। এদিকে, ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত ও সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা ‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘হাইকোর্ট না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ’ ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’'- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া স্লোগানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দেশাত্মবোধক গান, কবিতা পরিবেশন করতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বর্তমান কোটা ব্যবস্থা স্পষ্ট ও নিশ্চিত বৈষম্য। কোটা কখনো মেধার চেয়ে বেশি প্রায়োরিটি পেতে পারে না। তারা মনে করেন, বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে মেধার যথাযথ মূল্যায়ন। তবে সরকার চাইলে ৫% প্রতিবন্ধী ও উপজাতি কোটা রাখতে পারে, এর বেশি নয়।

শিক্ষার্থীদের পূর্বে চার দফা দাবি ছিল। তবে সেটি এক দফায় দাঁড়িয়েছে। তাদের এক দফা দাবি হলো ‘সরকারি চাকুরিতে সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যে কোটা রয়েছে। সেটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top