প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মধ্যরাতে উত্তাল ক্যাম্পাস

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৪:৪১

ছবি: সংগৃহীত

রোববার (১৪ জুলাই) মধ্যরাতে হঠাৎ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে স্লোগান সহকারে বের হয় বিশাল বিশাল মিছিল। কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁরা স্লোগান দেন। ছাত্র ও ছাত্রী হলগুলো থেকে বের হওয়া মিছিলগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনে রাজু ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে জড়ো হতে থাকে। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। 

শিক্ষার্থীরা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে তারা চরম ক্ষুব্ধ। এর প্রতিবাদ জানাতেই তারা বিক্ষোভ মিছিল করছেন।

রোববার (১৪ জুলাই) বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তাদের এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে? এটি দেশবাসীর কাছে আমার প্রশ্ন।

এদিকে, মিছিলে যোগ দেওয়া ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল, মাস্টারদা সূর্যসেন হল, বিজয় একাত্তর হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও এফ রহমান হলের শিক্ষার্থীদেরকে আটকে রাখার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হলগুলোর ছাত্রলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে এসে এই হলগুলোর মূল ফটকের তালা ভেঙে আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরকে উদ্ধার করে মিছিলে যুক্ত করেন।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, সূর্যসেন হল, মুহসীন হল, একাত্তর হল, এ এফ রহমান হল ও সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আটকে রাখা শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং মিছিলে যুক্ত করা হয়েছে। জহুরুল হক হলের টিভি রুমে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখা হয়েছিল।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, বিজয় একাত্তর হলগেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। সেখানে আটকে রাখা শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ ভাইয়ের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দেশের অধিকাংশ মানুষ বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোনো কোটা চায় না। দেশের মানুষ চায় মেধার মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে নিয়োগ হোক।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top