তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান হারুন
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৪:৩৬
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তারা এখন ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আবু বাকের মজুমদার ও আসিফ মাহমুদকে হাসপাতালের কেবিন থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে গতকাল শুক্রবার বিকালে সাদা পোশাকের কিছু ব্যক্তি তাদের তুলে নিয়ে যায় বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী নিশ্চিত করেন।
হাসপাতালের একাধিক চিকিৎসক ও নার্স জানিয়েছেন, বিকাল ৪টার কিছু পরে তাদের তুলে নেয়া হয়। গত কয়েক দিন ধরে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তারা। ছিলেন নজরদারিতে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, নাহিদ হাসপাতালের ৭ম তলার ৭০৩ নম্বর কক্ষে ছিলেন। গতকাল বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওই কক্ষে গিয়ে নাহিদকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আসিফ ৩য় তলার ৩১১ নম্বর কক্ষে ছিলেন। সেই কক্ষে গিয়েও আসিফকে পাওয়া যায়নি।
নাহিদের বোন ফাতেমা তাসলিম গণমাধ্যমকে বলেন, নাহিদ আর আসিফ মাহমুদকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। তখন আমাকে ধমক দিয়েছে। আমাকে একটা রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ওদেরকে জোর করে নিয়ে গেছে।
তারা প্যান্ট পরতে চেয়েছিল কিন্তু প্যান্টও পরতে দেওয়া হয়নি। লুঙ্গিপরা অবস্থায় নিয়ে গেছে। ওরা ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল। ওরা যেতে চায়নি। পরে ওদেরকে বলছে, আমাদের কথা শোনো। তোমাদের ভালো হবে। না শুনলে তোমাদের খারাপ হবে।
তিনি বলেন, নার্স তাদের দিতে চায়নি। নার্স বলছিল, আমার রোগী রিলিজ হয়নি। তাকে আমি কেন দেবো। এটা বলার জন্য তাকে ধমক দিয়েছে। পরে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে নিয়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেয়া হয়নি। নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ এর আগেও তাদের তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।