শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে চায় আওয়ামী লীগ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:৫৬

ছবি: সংগৃহীত

সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখিয়ে চলমান পরিস্থিতি শান্ত করতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে মতবিনিময় ও সমন্বয় করার জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। 

দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তারা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে টিম গঠন করে আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। শুক্রবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে দলীয় সভাপতি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠক সূত্র যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুর নাহার চাপা, তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন।

সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে চলমান কোটা আন্দোলন নিয়েও কথা হয়। এসময় বলা হয়, আমরা ছাত্রদের দাবির সঙ্গে একমত। ছাত্রদের কোটার দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, হতাহতের ঘটনায় গঠন করে দেওয়া হয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। তারপরও তারা আন্দোলন করছে, করুক।  এই আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ ছাত্রদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের সবাইকে ধর্য ধরতে হবে। দলের কেউ যেন ছাত্রদের প্রতি অন্যায় না করে সেজন্য সতর্ক থাকার নিদের্শ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। একই সঙ্গে পাড়া-মহল্লায় সতর্ক থাকার পরামার্শও দেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আওয়ামী লীগের আপত্তি নেই। তবে তৃতীয় পক্ষ যেন তাদের ব্যবহার করে সুবিধা আদায় না করতে পারে সেদিকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন দলীয় সভাপতি। ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মোকাবিলার জন্য বলা হয়েছে।

তারা আরও জানায়, আমরা চাচ্ছি দেশে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আসুক। দেশের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরই মধ্যে তাদের দাবি মেনে কোটা সংস্কার করা হয়েছে। হতাহতের ঘটনায় সঠিক তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। এর সঠিক বিচারও হবে। সরকার তাদের কথা শুনবেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top