শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছাত্র থেকে সরকারের উপদেষ্টা: কে এই নাহিদ ও আসিফ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট ২০২৪, ১৭:১৬

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিলেন তারা। তবে আন্দোলন শুরুর দেড় মাসেরও কম সময়ের মধ্যে তারা এখন অন্তর্র্বতী সরকারের সদস্য।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন কোটা আন্দোলনের দুই সমন্বয়কারী মো. নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তারা দুই জন ছাত্র এবং সার্টিফিকেট অনুযায়ী দুই জনের বয়সই ২৬। বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ট উপদেষ্টা হলেন তারা।

নাহিদ ইসলাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক। তার বাড়ি ঢাকার বনশ্রীতে। বনশ্রী সরকারি স্কুল থেকে এসএসসি ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি। বাবা বদরুল ইসলাম জামির পেশায় স্কুলশিক্ষক ও মা মমতাজ নাহার গৃহিণী। ব্যক্তিগত জীবনে নাহিদ বিবাহিত।

নাহিদ ২০১৬-১৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তিনি বর্তমানে মাস্টার্স প্রোগ্রাম (এমএসএস) অধ্যায়নরত আছেন একই বিভাগ থেকে। ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। সেখান থেকে নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ছাত্র অধিকার পরিষদের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে যোগদেন। এসময় তিনি এই সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৩ সালের ৩ জুলাই গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগে এনে ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে একযোগে পদত্যাগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সব সদস্য যার মধ্যে নাহিদও ছিলেন। এর কয়েকমাস পর ৩ অক্টোবর ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেনের নেতৃত্বে গঠন করা হয় গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি। নাহিদ বর্তমানে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্তর্বতী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন কোটা আন্দোলনের আরেক সমন্বয়কারী আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

আসিফ মাহমুদের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়নের আকুবপুর গ্রামে। তার বাবার নাম মো. বিল্লাল হোসেন, মা রোকসানা বেগম। আসিফ মাহমুদ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কলেজটির বিএনসিসি ইউনিটের প্লাটুন সার্জেন্ট ছিলেন। সেখান থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। এখন তিনি স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছেন।

আসিফও ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এরপর ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে রাজনীতি শুরু করেন। তিনি সর্বশেষ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর সংগঠনের গঠনতন্ত্রের লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে তার নেতৃত্বে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি পদত্যাগ করে। এরপর ৩ অক্টোবর গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সূচনার পর তিনি সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top