শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আসিফ ও নাহিদের হাতে গড়া সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট ২০২৪, ১৭:২৫

ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালের ৪ অক্টোবর। শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ, শিক্ষার্থী কল্যাণ, ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণকে ও রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল ছাত্রসংগঠন ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সামনে এক সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন এই ছাত্র সংগঠনের।

অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনকে আহ্বায়ক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাহিদ ইসলামকে সদস্য সচিব করে নতুন ৩১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণা করে দলটি।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া, সদস্য সচিব হিসেবে মো. আবু বাকের মজুমদারকে মনোনীত করে ৩৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে দলটি।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে লিখিত বক্তব্যে আখতার হোসেন বলেন, নতুন দলের মূলনীতি হবে— শিক্ষা, শক্তি ও মুক্তি। দায়, দরদ ও মানবিক মর্যাদা ভিত্তিক রাজনৈতিক সমাজ গঠন করাই এই দলের আদর্শ। এই দলের রাজনৈতিক অবস্থান হবে মধ্যমপন্থী ও গণতান্ত্রিক। দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হবে— শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, পরিসর ও সংস্কৃতি নির্মাণ, শিক্ষার্থী কল্যাণ, ছাত্র-নাগরিক রাজনীতি নির্মাণ ও রাষ্ট্র-রাজনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, চিন্তা ও রাজনীতির সমন্বয় ছাড়া একটি জনগোষ্ঠী নিজেকে বিকশিত করতে পারে না। তাই বিদ্যমান ছাত্র রাজনীতি পর্যালোচনা ও নতুন একটি ছাত্র রাজনীতি বিকাশের লক্ষ্যে আমরা কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে নিজেদের ভেতর আড্ডা, আলাপ ও মত বিনিময়ের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক বোঝাপড়া তৈরি করতে সচেষ্ট হই।

পাশাপাশি ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠনের সক্রিয় সদস্যগণ তাদের সংগঠনের প্রতি আস্থা হারিয়ে নতুন রাজনৈতিক উদ্যোগের পরিকল্পনা নিচ্ছিল। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক বিকাশের জন্য আমরা একটি নতুন প্ল্যাটফর্মের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।

সেই লক্ষ্যে আমরা গত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে সক্রিয় শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে একটি নতুন ছাত্র সংগঠন গঠন করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top