সামনের সারিতে আছি, রাজনীতিতে যোগ দিতে প্রস্তুত: জয়

বাংলাদেশে অর্ন্তর্বতী সরকার নির্বাচনের ঘোষণা দিলে শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন। এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে মুঠোফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অর্ন্তর্বতী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের দিন জয় বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে। এমনকি আমরা নির্বাচনে জয়ী হতে পারি। বাংলাদেশে আমাদের বড় সমর্থক গোষ্ঠী রয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে নেতৃত্বশূন্যতায় ভুগছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের অনেক স্থানে দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর একের পর এক হামলার খবর আসছে। নিরাপত্তাহীনতায় আত্মগোপনে আছেন দলটির বেশিরভাগ নেতা। এমন পরিস্থিতিতে দলের হাল ধরার আগ্রহ জানান তিনি।

টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে জয় বলেন, আমি রাজনীতিতে আসতে প্রস্তুত। দল ও দলের কর্মীদের রক্ষায় যা করা দরকার, তার সবটাই আমি করব। যদিও এর আগে তিনি বলেছিলেন, রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই তাঁর।

জয় বলেন, আমাকে যদি রাজনীতিতে যোগ দিতে হয়, তবে আমি তা থেকে নিজেকে বিরত রাখব না। আমার মা এ মেয়াদ পূর্ণ করেই রাজনীতি থেকে অবসর নিতেন। আমার কখনোই রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না। আমি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করছি। তবে বাংলাদেশে কয়েক দিন ধরে চলা ঘটনাপ্রবাহে নেতৃত্বশূন্যতা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় দলের জন্য আমাকে সক্রিয় হতে হবে। এখন আমিই সামনে আছি।

জয় আক্ষেপ করে বলেন, আত্মসমালোচনা করার সুযোগ থাকা উচিত। আপনি যখন একটি দেশ চালাবেন, তখন আপনাকে প্রতিদিন অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সে ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে ভুল হবে।

আওয়ামী লীগ আত্মসমালোচনায় বিশ্বাস করে এবং আমরা সে জন্য প্রস্তুত আছি। কিন্তু এবার আমাদের আত্মসমালোচনা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও পরিস্থিতি যে এত দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, তা আমরা কখনোই ভাবিনি। জয় দাবি করেন, বিএনপি-জামাত জোট বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে পারবে না।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। সেদিন থেকে তিনি এখন পর্যন্ত ভারতেই অবস্থান করছেন। এ ঘটনার পর একাধিকবার নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দলের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়। একই সঙ্গে অন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও নিয়মিত কথা বলছেন তিনি।