গ্র্যান্ড সুলতানে শামীম ওসমানের থাকার গুঞ্জন

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৪ আগষ্ট ২০২৪, ১৯:৫৭

ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান আত্মগোপনে রয়েছেন- এমন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টে জড়ো হয়েছিলেন জনতা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী রিসোর্টে তল্লাশি চালিয়ে জানতে পারে বিষয়টি গুজব।

শামীম ওসমান গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে আছেন—এমন গুঞ্জন শোনার পর থেকে আশপাশের উৎসুক লোকজন রিসোর্টের আশপাশে ভিড় করেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে রিসোর্টের প্রবেশদ্বারসহ আশপাশ ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশের সঙ্গে সেনাসদস্যরা হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু শামীম ওসমানকে সেখানে পাওয়া যায়নি।

শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা পুলিশ ও সেনাবাহিনী গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্টে গিয়ে তল্লাশি করেছি। এখানে শামীম ওসমান থাকা নিয়ে যে গুঞ্জন উঠেছিলে, তা সম্পূর্ণ গুজব। কিছু মানুষ গ্র্যান্ড সুলতানের আশপাশে জড়ো হয়েছিল। আমরা তাঁদের সরিয়ে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।’

শামীম ওসমানের থাকার গুজবে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বাড়তে থাকলে ঘটনাস্থলে যান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মহসিন মিয়া। তিনি গ্র্যান্ড সুলতান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উৎসুক জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘এখানে কেউ নেই। এসব গুজব। আপনারা চলে যান। অযথা ভিড় করবেন না।’ পরে সবাই চলে যায়।

গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক আরমান খান বলেন, শামীম ওসমানের থাকার বিষয়টি গুজব। তাঁদের রিসোর্টটি অরাজনৈতিক ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি পাঁচ তারকা রিসোর্ট। সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ও পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে রূপান্তরিত করেছে। দেশবাসী সেটা জানেন। দেশের ক্রান্তিলগ্নে কিছু মহল বিচার-বিবেচনা না করেই উসকানিমূলক কিছু পোস্ট ছড়িয়ে দিয়েছে, যা পর্যটন খাত তথা গ্র্যান্ড সুলতানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার জন্য যথেষ্ট। কোনো কিছু না জেনে-বুঝে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।

শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন ইচ্ছা করে গুজব ছড়াচ্ছেন; যাতে লোকজন এসে গ্র্যান্ড সুলতান ভাঙচুর করে ও সুযোগ সন্ধানীরা লুটপাট করতে পারে। এ সময় তিনি জড়ো হওয়া লোকজনকে রিসোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে দেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top