বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছেন পাপন, নতুন সভাপতি ফারুক
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২১ আগষ্ট ২০২৪, ১৫:১২
দীর্ঘ একযুগ পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হাসান পাপন। আজ বুধবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি বোর্ড সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
সচিবালয়ে আজ হঠাৎ জরুরি বোর্ড সভা ডাকার পরই সভাপতি পদ থেকে নাজমুল হাসানের পদত্যাগের বিষয়টি অনুমিত ছিল। নাজমুল হাসানের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সভায় থাকা বিসিবির এক পরিচালক। ই-মেইলের মাধ্যমে তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আজ বোর্ডের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিচালনা পর্ষদের জরুরি সভা ডাকে বিসিবি। সচিবালয়ে অবস্থিত যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমের এই বৈঠকে অনলাইনে যোগ দিয়ে পদত্যাগ করেন তিনি। সর্বসম্মতিক্রমে তার পদত্যাগ পত্র গৃহীত হয়েছে।
গত ৫ই আগস্ট হাসিনা পালানোর পর সরকার পতন হয়। এরপর থেকেই লাপাত্তা ছিলেন পাপন। এর কিছুদিন পর বিসিবির এক পরিচালককে ফোন করে পদত্যাগের ইচ্ছার কথা জানান তিনি। এরপর আজ গঠনতন্ত্র অনুসারে সভা ডাকেন পাপন। এরপর সেখানেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।
২০১২ সালে নিয়োগের পর থেকে টানা দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের উল্লেখযোগ্য অর্জনটাও ছিল তার সময়ে। যদিও নিজের মেয়াদের শেষদিকে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দ্বিতীয়বারের নিয়োগ, ক্রিকেটার এবং বোর্ডের একাধিক ব্যক্তির মধ্যে অন্তঃকলহ পরিবেশ কিছুটা হলেও বিষাক্ত হয়েছিল।
২০১৩ সালের পর ২০১৭ ও ২১ সালে টানা তিনবার নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পাপন। ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপন এনএসসি কোটায় পরিচালক হয়েছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালকরা তাকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করেন। গত দুই নির্বাচনে তিনি ঢাকা আবাহনীর কাউন্সিলর হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়ায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাপন। নাজমুল হাসান পাপনের বর্তমান অবস্থান অজানা।
এদিকে, পাপনের উত্তরসূরী হিসেবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি হলেন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হিসেবে ক্রিকেট বোর্ডের কাউন্সিলরশিপ আগে থেকেই ছিল ফারুকের। সেই সুবাদেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় যুক্ত হলেন পরিচালক পদে। সেখান থেকেই চলে এলেন ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে। পরিচালক পদে এনএসসি কোটায় ফারুকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে দুদিন আগেই পদত্যাগ করেছিলেন জাতীয় দলের আরেক পেসার জালাল ইউনুস।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে ফারুক আহমেদের সখ্যতা বেশ আগে থেকেই। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে দুই দফায় পালন করেছেন নির্বাচকের দায়িত্ব। ২০০৩ সালে প্রথমবার আসেন এই পদে। এরপর ২০১৩ সালে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেই আরেকবার নির্বাচক হন তিনি। ২০১৬ সালে সেই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।