ফারাক্কা বাঁধের গেট খুলে দেওয়ার গুজব ও ভুয়া ভিডিও প্রত্যাখান দিল্লির
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:১১
ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার গেট খুলে দেওয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। বাঁধ খুলে দেওয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশেও।
তবে ভারত বলছে ভিন্ন কথা। বরাবরের মতো এবারও উলটো সমালোচনা করছে বাংলাদেশের গণমাধ্যম নিয়ে। ফারাক্কা ব্যারেজ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিক্রিয়ার আলোকে মুখ খুলেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকার ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি পোস্টও দেওয়া হয়।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত বিবৃতি অনুয়ায়ী রণধীর জসওয়াল বলেন, ‘আমরা গণমাধ্যমে ফারাক্কা ব্যারাজের গেটগুলো খুলে দেওয়ার খবর দেখতে পেয়েছি, যার ফলে গঙ্গা বা পদ্মা নদীতে স্বাভাবিক গতিপথ ধরে ভাটির দিকে ১১ লাখ কিউসেক পানি প্রবাহিত হবে।’
তিনি বলেন, এটি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। মূলত উজানে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধির কারণে এমনটা ঘটেছে। এটি বুঝতে হবে যে ফারাক্কা একটি ব্যারাজ, ড্যাম নয় (ব্যারাজ হলো পানির প্রবাহের ওপর এমন একটি বাধা, যার সাহায্যে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি অন্যদিকে প্রবাহিত করা হয় এবং ড্যামের মাধ্যমে কোনো প্রবাহের ওপর বাধা দিয়ে উজানে পানি ধরে রাখা হয়)। যখনই এখানে পানি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে আসে, তখন তা স্বাভাবিক গতিতে বয়ে যায়।’
ফারাক্কা ব্যারাজের উদ্দেশ্য তুলে ধরে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘এটি কেবল একটি কাঠামো, যার মাধ্যমে খুব সাবধানে প্রধান নদী গঙ্গা বা পদ্মার ওপর একটি গেট সিস্টেম ব্যবহার করে ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত করা হয় এবং ভারসাম্যপূর্ণ পানি প্রধান নদী হয়ে বাংলাদেশের দিকে প্রবাহিত হয়।’
রণধীর জসওয়াল বলেন, ‘প্রটোকল অনুযায়ী তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত ও সময়মতো বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শেয়ার করা হয়, এবারও তাই করা হয়েছে। ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টির জন্য এ বিষয়ে ভুয়া ভিডিও, গুজব এবং ভীতি ছড়ানোর বিষয়টি আমরা দেখেছি। দৃঢ়ভাবে সত্য তথ্যের মাধ্যমে এই বিষয়টি মোকাবিলা করা উচিত।’
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।