প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর মতবিনিময় আজ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩১ আগষ্ট ২০২৪, ১৩:০১
সার্বিক পরিস্থিতি, দেশ সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস মতবিনিময় করবেন। আজ শনিবার বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই মতবিনিময় শুরু হবে। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, এবারও তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে।
সূত্র জানিয়েছে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সংস্কার এবং আগামী নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা হবে। তবে আগের বৈঠকের মতো এই বৈঠকেও আওয়ামী লীগসহ তাদের জোটের কোনো দল মতবিনিময়ে থাকবে না বলে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতার সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এসময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। আমাদের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’
নির্বাচনের কোনো সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো তারিখ নিয়ে আলোচনা করিনি। আমরা কোনো তারিখ বলব না, এটা উনারা বলবেন।’
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আওয়ামী লীগকে বাদ রেখে অন্যান্য দল এবং সেনাবাহিনী আলোচনা করে এই সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে এই সরকারকে স্বাগত জানানো হয়।
তবে গত ২৪ আগস্ট থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন প্রশ্নে ‘অতি দ্রুত’ সংলাপের দাবি জানাচ্ছিলেন। মূলত এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৪৫টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর বাইরে আলোচিত জামায়াতে ইসলামীসহ অনেক দল ও মোর্চা নিবন্ধনের বাইরে থেকেই রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছে।
প্রসঙ্গত যে, নির্বাচন নিয়ে ২৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কখন নির্বাচন হবে সেটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, আমাদের সিদ্ধান্ত নয়। তিনি বলেন, দেশবাসীকে ঠিক করতে হবে আপনারা কখন আমাদের ছেড়ে দেবেন।
আমরা ছাত্রদের আহ্বানে এসেছি। তারা আমাদের প্রাথমিক নিয়োগকর্তা। দেশের আপামর জনসাধারণ আমাদের নিয়োগ সমর্থন করেছে। আমরা ক্রমাগতভাবে সবাইকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে যাব, যাতে হঠাৎ করে এই প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়—আমরা কখন যাব। তারা যখন বলবে, আমরা চলে যাব।
মতবিনিময়ে অংশ নেবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা আমাদের কথাগুলো বলব। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার এবং নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের আলোচনা শুরু করতে হবে। এ সরকার কোন কোন কাজ করতে পারবে, সে কাজ করার জন্য কতদিন সময় প্রয়োজন হবে, তা আলোচনার মাধ্যমেই ঠিক হবে।’
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।