মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১

সমন্বয়কসহ ৬ ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞার খবরটি ভুয়া

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১০

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছয়জন নেতার বিরুদ্ধে ভারতীয় যে নিষেধাজ্ঞার খবর প্রকাশ হয়েছে তা ভুয়া বলে জানিয়েছে ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এক কর্মকতার বরাত দিয়ে গতকাল রবিবার তারা এই তথ্য জানায়।

ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ছয় ছাত্র নেতার ওপর ভারতীয় ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ এমন শিরোনামে একটি সংবাদ বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে রোববার প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৬ ছাত্র নেতার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে ‘ভারতবিরোধী’ অনুভূতি জাগিয়ে তোলার জন্য ওই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত। তবে এটি একটি ‘ভুয়া খবর’ বলে নিশ্চিত করেছে ভারতের সরকারি সূত্র।

মিরর এশিয়ার বরাত দিয়ে বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম রোববার জানিয়েছে, ভারত ৬ বাংলাদেশি ছাত্রনেতার পর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ওই প্রতিবেদনে কোনো সূত্র উল্লেখ করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ভারতবিরোধী জনতাকে উস্কানি দেওয়া এবং ভারতের জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, এ বিষয়ে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। দিল্লিতে কর্মরত বেশ কয়েকজন ভারতীয় সাংবাদিক দ্য মিরর এশিয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ‘ছয় ছাত্রনেতার ওপর ভারতের ভিসা নিষেধাজ্ঞা’ শীর্ষক একটি সংবাদ গতকাল রোববার প্রকাশ করে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর এশিয়া। এতে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করে, ভারতবিরোধী জনতাকে উসকে দেওয়া ও ভারতের জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের ছয় ছাত্রনেতা ও তাদের ঘনিষ্ঠজনদের ভিসা না দেওয়ার জন্য কালো তালিকাভুক্ত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির আহ্বায়ক আখতার হোসেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুম।

দিল্লিতে কর্মরত ভারতীয় গণমাধ্যমের কয়েকজন সাংবাদিক দ্য মিরর এশিয়াকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। এমনকি ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত মৌখিক নির্দেশনা ঢাকাস্থ ইন্ডিয়ান হাইকমিশনে পাঠানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করে দ্য মিরর এশিয়া।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top