বায়তুল মোকাররমের ‘পলাতক’ খতিব এখন গোপালগঞ্জে
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৩০
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পলাতক রয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। গত ২৬ জুলাইয়ের পর আর মসজিদে আসেননি তিনি। রুহুল আমিন এখন গোপালগঞ্জে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর মুফতি রুহুল আমিন খতিবের দায়িত্ব পালনে না আসায় জাতীয় মসজিদের জুমার নামাজে ইমামতির জন্য দুজন সরকারি কর্মকর্তাসহ ৪ জনকে দায়িত্ব দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
একই সঙ্গে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে গত ২৯ আগস্ট তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা জানতে ৭ দিন সময় দেওয়া হয় নোটিশে। যার সময়সীমা গত ৫ সেপ্টেম্বর শেষ হয়েছে। কিন্তু খতিবের দিক থেকে জবাব আসেনি। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজে তিনি আসেননি।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি রুহুল আমিনের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি গোপালগঞ্জ গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার শিক্ষক ও খতিবের ঘনিষ্ঠজন জানিয়েছেন, মুফতি রুহুল আমিন খুব অসুস্থ, তিনি এখন গোপালগঞ্জে অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩১ মার্চ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হিসেবে নিয়োগ পান মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। কওমি সনদের স্বীকৃতির পর ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ‘শোকরানা মাহফিলে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি ‘কওমি জননী’ উপাধিতে দিয়েছিলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তবর্তীকালীন সরকার। সরকার পতনের পর মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গা ঢাকা দেন। তবে অনেকেই ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।