হাসিনা সরকার উৎখাতে ‘মার্কিন-চীন প্রভাব’, জবাবে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। হাসিনা সরকারের পতনের পর গুঞ্জন উঠছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভূমিকা নিয়ে। অনেকে মনে করছেন, হাসিনাকে উৎখাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরোক্ষ মদদ রয়েছে। তবে এই গুঞ্জন-জল্পনার মধ্যে প্রায় এক মাস পর আবারও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত ছিল না বলে স্পষ্ট করে জানিয়েছে দেশটি।

এদিনের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে চীনের প্রভাব ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার ইতোমধ্যেই একমাস পার করেছে।

গত ৫ আগস্ট ও তার পূর্ববর্তী সময়ে অস্থিরতার পরে যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের সাথে — বিশেষ করে গণতান্ত্রিক নির্বাচন আয়োজনে — জড়িত হওয়ার পরিকল্পনা করছে? এবং দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাবের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কি কোনও কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কিনা?

আরেক প্রশ্নে সাংবাদিক জানতে চান, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চাইছে? বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে হওয়া ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে চীনা প্রভাবের দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই পরিস্থিতিকে কীভাবে মূল্যায়ন করে এবং এই অঞ্চলে কি কোনও কৌশলগত উদ্বেগ আছে বলে মনে করছে কিনা?

জবাবে মার্কিন এই কর্মকর্তা বলেন, দেখুন, আমরা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকারের সাথে কাজ করার জন্য প্রস্তুত এবং আগ্রহী। কারণ এই সরকার বাংলাদেশের জনগণের জন্য গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে চলেছে। এর বাইরে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।