প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে কমলার কাছে নাস্তানাবুদ ট্রাম্প

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:১১

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারণার অন্যতম অনুষঙ্গ মুখোমুখি বিতর্ক আয়োজন। এ আয়োজনে মুখোমুখি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায়) এ বিতর্ক শুরু হয়।

বিতর্কের আয়োজক মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ। বিতর্কের সঞ্চালক ডেভিড মুইর ও লিনসে ডেভিস। আয়োজনের শুরুতে মঞ্চে উঠে ট্রাম্পের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন কমলা হ্যারিস। এরপর দুজন করমর্দন করেন। কমলা হ্যারিসের বক্তব্যের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

বিতর্কে উঠে এসেছে অর্থনীতি, গর্ভপাত ও প্রজনন, ইউক্রেন, গাজা যুদ্ধসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়। সব বিষয়ে কমলা ও ট্রাম্প পরস্পরকে আক্রমণ করেন। এমনকি তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারেরও অভিযোগ তোলেন। একজন আরেকজনকে মিথ্যাবাদী বলেন।

বিতর্কের শুরুতেই তারা অর্থনীতি নিয়ে একে অপরের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পকে আক্রমণ করে কমলা বলেন, ট্রাম্প যখন ক্ষমতা ছাড়েন, তখন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মসংস্থানকে খুবই বাজে অবস্থায় রেখে যান। সে সময় বেকারত্বের হার ছিল মহামন্দার পর সবচেয়ে বাজে।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা। তিনি আরও বলেন, ১৬ জন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেছেন। তাদের মতে, ট্রাম্পের নীতি বাস্তবায়িত হলে আগামী বছরের মধ্যে মন্দা শুরু হয়ে যাবে।

কমলা বলেন, মার্কিনদের জন্য ট্রাম্পের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ, তিনি মার্কিন জনগণের পাশে থাকার চেয়ে নিজেকে রক্ষা করতে বেশি আগ্রহী। ট্রাম্প আগে যা করেছেন, এখনও তা করতে চান। তিনি বিলিয়নিয়ার ও করপোরেশনগুলোর কর কাটছাঁট করবেন।

কমলার তীব্র সমালোচনার জবাব দেন ট্রাম্প। তিনি অন্য দেশের ওপর শুল্ক বসানোর পরিকল্পনার কথা জানান। চীনের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, তার প্রশাসন চীনের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার শুল্ক এনেছিল। এমনকি ক্ষমতা ছাড়ার পরও শুল্ক এসেছে।

বিতর্কের আগে একাধিক জরিপে দেখা যায়, জনপ্রিয়তায় কমলা ও ট্রাম্প সমানে সমান। শেষ পর্যন্ত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলো নির্বাচনের ফলাফল ঠিক করবে। এই বিতর্কের সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে কোন প্রার্থী এসব অঙ্গরাজ্যের ভোট বেশি টানতে পারছেন।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top