আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় সেই ইন্সপেক্টর গ্রেপ্তার
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৩
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের দিন গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার ভোরে রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর একটি দল।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের এক ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়- গুলিবিদ্ধ লাশ গুনে গুনে ভ্যানে তুলছেন পুলিশ সদস্যরা। পরে একটি পরিত্যক্ত ব্যানার দিয়ে সেগুলো ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। ভিডিওতে পুলিশের ভেস্ট আর হেলমেট পরা যাদের দেখা গেছে, তাদের একজন ঢাকা উত্তরের গোয়েন্দা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
এদিকে আশুলিয়ায় ঘটনার মূল কারিগর সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহিল কাফিকে বৃহস্পতিবার ফের পাঁচ দিনের রিমান্ডের নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দর থেকে কাফিকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস জানান, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে লাশ পোড়ানোর ঘটনার ভিডিও দেশ-বিদেশে মানুষকে নাড়া দেয়। এতে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে আসে যে, এ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন ইন্সপেক্টর আরাফাত হোসেন। এরপর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ রাজধানীর আফতাবনগর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভ্যানে লাশের স্তূপ করছে পুলিশ, এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে থাকা দেয়াল, পোস্টার ও ঘটনাস্থল দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে এটি আশুলিয়া থানার সামনের ভিডিও। ভিডিওতে লাশের স্তূপ করা এক পুলিশ সদস্যকে দেখা যায়।
পরে জানা যায়, তিনি হলেন ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আরাফাত হোসেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। প্রায় দুই বছর আগে ঢাকা জেলার গোয়েন্দা বিভাগে যোগ দেন তিনি। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। বন্ধ ছিল মোবাইল ফোনও।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।