শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের ৫০ হাজার কর্মীর পরিবার করুণ অবস্থায়

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২৩

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট সরকারপ্রধানের পদ ত্যাগ করে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। এর পরই দলটির নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় অনেক এরই মধ্যে আর্থিক সংকটে পড়েছেন। ই-মেইল ও মেসেজের মাধ্যমে দলের কেন্দ্রীয় কমান্ডকে ৫০ হাজার কর্মী নিজেদের করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন। মামলা-হামলা ও গ্রেপ্তারের কারণে বাড়িতেও অবস্থান করতে পারছেন না তারা।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্টে লেখা হয়েছে, সারা দেশ থেকে অনলাইনেই জুলাই-আগস্ট পুরো মাস এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি, যা এখনো চলমান। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর দেশের প্রতিটি জেলা, মহানগর, উপজেলা, ইউনিয়ন, এমনকি কয়েক হাজার ওয়ার্ড পর্যায়েও হামলা হয়েছে। তাদের সব কিছুই লুট করেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। মহানগর ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে একেকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আছে ৫ থেকে ১০টি পর্যন্ত মিথ্যা মামলা।

এই সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দুস্থ কর্মীদের পাশে দাঁড়ানো। তৃণমূলের প্রায় ৫০ হাজার কর্মী ইমেইলে ও মেসেজের মাধ্যমে তাদের করুণ অবস্থার কথা জানিয়েছেন। বিশেষ করে অনুরোধ করেছেন তাদের পরিবারগুলোকে বাঁচাতে। অনেকেই মামলা হামলা ও গ্রেপ্তারের কারণে বাড়িতেও অবস্থান করতে পারছেন না। দেশে বা প্রবাসে থেকে যারা দুস্থ নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে চান, ইমেইল বা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করবেন। আপনার কাছে আমরা তথ্য সরবরাহ করব। ই-মেইল [email protected] হোয়াটসঅ্যাপ +1 (917) 569-9327 ।

পোস্টে আরও লেখা হয়, দেশে বা প্রবাসে থেকে যারা নিজ নিজ এলাকার কর্মীদেরকে সহযোগিতা করছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা এখন থেকে পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কারও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর বা অন্য যেকোনো পরিচিত নম্বর শেয়ার করা থেকে বিরত থাকব।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখনো ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি। গত ৮ আগস্ট গঠন হয় অন্তর্র্বতী সরকার। এরপর হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরসহ নানা অভিযোগ তুলে দেশের বিভিন্ন যায়গায় মামলা হতে শুরু করে। যেসব মামলায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের অনেক নেতাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top