বৃহঃস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

আসাদুজ্জামান নূর (বাকের ভাই) ও মাহবুব আলী গ্রেফতার

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৭

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বেইলী রোডের নওরতন কলোনি থেকে তাকে গ্ৰেপ্তার করে‌। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল সাবেক এ মন্ত্রিকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করে।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরকে রাত ১১টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডের নওরতন কলোনি থেকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। তিনি মিরপুর থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

আসাদুজ্জামান নূর (জন্ম ৩১ অক্টোবর ১৯৪৬) হলেন একজন অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ। তিনি শেখ হাসিনার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় বাংলাদেশের সংস্কৃতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালে অসহযোগ আন্দোলনের পর রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে আসাদুজ্জামান নূর সংসদ সদস্য পদ হারান।

১৯৭২ সালে আসাদুজ্জামান নূর অভিনয় জীবন শুরু হয় মঞ্চদল ‘নাগরিক’ নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে। এ নাট্যদলের ১৫টি নাটকে তিনি ৬০০ বারের বেশি অভিনয় করেছেন। নূর ১১০টিরও বেশি টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।

১৯৯০ দশকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদের ‘কোথাও কেউ নেই’ নামের একটি ধারাবাহিকে বাকের ভাই চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। ‘আগুনের পরশ্ মণি’ তার সবচেয়ে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর সংস্কৃতিতে অবদান রাখার জন্য ২০১৮ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে, রোববার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। শেখ হাসিনা সরকারের কোনো মন্ত্রীকে গ্রেফতারের খবর প্রথম আসে ১৩ আগস্ট। সেদিন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

এরপর সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এবং ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতকে পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া সেনাবাহিনী থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে। ঢাকা-৭ আসনের প্রভাবশালী সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ গ্রেফতার হয়েছেন একাধিক সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top