হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২২:৪১
চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসভবনে (ফিরোজা) ফেরেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এক সপ্তাহ আগে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ঢাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় ফিরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ২৩ জুন তাঁর সফল অস্ত্রোপচার হয়।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও তৎকালীন সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার তা উপেক্ষা করেছে। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। তবে উড়োজাহাজে ভ্রমণের মতো অবস্থা না থাকায় এখনই তাঁকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে কেন নেয়া হচ্ছে না, এর ব্যাখ্যা দিয়ে সেদিন অধ্যাপক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘একজনকে বাইরে নিতে হলে শারীরিক সুস্থতা প্রয়োজন। প্লেনে উঠতে হলে নেগেটিভ প্রেসার সহ্য করার মতো সুস্থতা থাকতে হয়। ফ্লাই করার জন্য নেগেটিভ প্রেসার আছে সেটা কতটুকু? ল্যান্ড করার সময়ে কতটুকু তিনি সহ্য করতে পারবেন। সেটি গল্পের বিষয় না, সেটি অ্যাকাডেমিক, প্রফেশনাল ও সায়েন্টিফিক বিষয়। মেডিকেল বোর্ড সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে দেশি-বিদেশি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। শারীরিকভাবে একটু সুস্থ হলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে বাইরে নেয়ার চেষ্টা করা হবে একটা উন্নত সেন্টারে ফলোআপের জন্য।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।