কত দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে, জানালেন সেনাপ্রধান
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৩
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, যাই কিছুই ঘটুক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার সম্পন্ন করে আগামী ১৮ মাসের মধ্যে যেন নির্বাচন হতে পারে। সেজন্য অন্তর্র্বতীকালীন সরকারকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। গত সোমবার ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে সেনাপ্রধান বলেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করবে না। আগামী দেড় বছরের মধ্যে দেশে গণতন্ত্রের উত্তরণ হতে হবে।
সেনাপ্রধান বলেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে প্রতি সপ্তাহেই সাক্ষাৎ হয়। আমাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি নিশ্চিত, আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি, তাহলে ব্যর্থ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
ওয়াকার-উজ-জামান জানান, সরকার পতনের পর সংস্কারের অংশ হিসেবে সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং কয়েকজনকে এরই মধ্যে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।যদি কোনো দায়িত্বরত সদস্য দোষী সাব্যস্ত হন, অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেবো।
সেনাপ্রধান বলেন, সামগ্রিকভাবে সামরিক বাহিনীকে কখনোই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত নয়। একজন সৈনিককে রাজনীতি করা উচিত নয়।
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, সেনাবাহিনীকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত তখনই রাখা যেতে পারে যখন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকে। এমন ব্যবস্থায় সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে।
ছাত্র-জনতার তুমুল বিক্ষোভের জেরে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। সেইদিনেই সামরিক হেলিকপ্টারে ভারত পালাতে বাধ্য হন। এরপর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি। হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্র্বতী সরকার। এই সরকার ইতোমধ্যে দেশের প্রধান প্রধান খাতে সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সরকারের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সূত্র: বার্তাসংস্থা রয়টার্স
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।