শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১

ড. ইউনূসের ভাষণে ‘তথ্য ঘাটতি’ নিয়ে পিনাকীর পোস্ট

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫:১২

ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে সাধারণ আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংঘটিত যুগান্তকারী পরিবর্তনের কথা তুলে ধরেছেন।

এ ভাষণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা, সমালোচনা ও পরামর্শ দিয়েছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে ড. ইউনূসের ভাষণে ‘তথ্য ঘাটতি’ আছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ফিলিস্তিনিদের নিয়ে জাতিসংঘে ড. ইউনূসের বক্তব্য ‘মানুষের হৃদয়ের কথা’ : আহমাদুল্লাহফিলিস্তিনিদের নিয়ে জাতিসংঘে ড. ইউনূসের বক্তব্য ‘মানুষের হৃদয়ের কথা’ : আহমাদুল্লাহ
শুরুতেই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাষণ প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, ‘প্রফেসর ইউনূসেরর জাতিসংঘের ভাষণ ভালো হয়েছে। কিছু ওয়ান্ডারফুল এলিমেন্ট আছে।’

এরপরই তিনি ভাষণে ‘তথ্য ঘাটতি’র বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে লেখেন, ‘কিছু জিনিস তিনি যুক্ত করতে পারতেন, কিছু জিনিস বাদ দিতে পারতেন। আমার জানামতে উনি স্পিচ রাইটারের সাহায্য নেন না। ওনার বক্তব্য উনি নিজেই লেখেন। অন্তত যে সময়কাল আমি ওনার সঙ্গে কাজ করেছি। তাও নিচের এলিমেন্টগুলো তিনি বিবেচনা করলে স্পিচ আরও ভালো হবে।

গ্রেইট এলিমেন্টস

১। ফিলিস্তিন নিয়ে অবস্থান। গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান।
২। অটোনোমাস এআই নিয়ে সাবধানবাণী।
৩। বাংলাদেশের লড়াইকে হাসিনার আমলকে রিপ্রেজেন্ট করা। হাসিনা কী কী ক্ষতি করেছে সেটা তালিকা ধরে বলা। এই প্রথম বিপ্লবে সোশ্যাল মিডিয়ার অবদানের কথা বললেন। এইজন্য কৃতজ্ঞতা।

যা যুক্ত করা যেত

১। বন্যার কারণ। আমাদের পানির ন্যায্য হিস্যার কথা।
২। সীমান্ত হত্যার কথা।
৩। হাসিনাকে যে ইন্ডিয়া আশ্রয় দিয়েছে সেটা উল্লেখ করা।’

ভাষণে অপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয় বাদ দেওয়া যেত বলে সমালোচনাও করেছেন পিনাকী ভট্টাচার্য তার পোস্টে। যুক্ত করে দিয়েছেন ‘যা বাদ দেওয়া যেত’ শিরনামে দুটি পয়েন্ট।

‘যা বাদ দেওয়া যেত

১। সামাজিক ব্যবসার কথা, থ্রি জিরোর কথা, ক্ষুদ্র ঋণের কথা। এসব এখনো আমাদের রাষ্ট্রের প্রায়োরিটি না। এগুলো ওনার এজেন্ডা। আমরা সেগুলোকে সাপোর্ট করি কিন্তু ওই প্লাটফর্মে শুধু রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো তোলা উচিৎ।
২। ফিলিস্তিনের টু স্টেইট সলিউশন না বলে শুধু ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার কথা বললে বেটার হতো। আমার ঠিক জানা নেই টু স্টেইট সলিউশন আমরা অফিসিয়ালি গ্রহণ করেছি কিনা। কিন্তু ফিলিস্তিনের লড়াইয়ের বিগেস্ট স্টেইক হোল্ডার কিন্তু টু স্টেইট সলিউশন মানে না। ইরান মানে না। তাই এই বিষয়টায় স্ট্রেইট অবস্থান নেওয়াটা এভয়েড করা যেতে পারতো।’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘প্রফেসর ইউনুসকে আরও বেশি প্রাকটিসের টাইম দিতে হবে। উনি এখনো টেলিপ্রম্পটার দেখে পড়তে অভ্যস্ততা অর্জন করেন নাই। আটকে আটকে যাচ্ছিলেন। ওনার স্পিচ বিশ মিনিটে যেন শেষ হয় তেমন কম্প্যাক্ট করতে হবে।’

নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১১টা ২৪ মিনিটে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের জেনারেল অ্যাসেম্বলি হলে ভাষণ শুরু করেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রায় ৩৮ মিনিট দীর্ঘ এ ভাষণে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ‘নতুন বাংলাদেশের’ অভ্যুদয় ঘটেছে, তার সঙ্গে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। এছাড়াও গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সমতা ও সমৃদ্ধি অর্জনের মাধ্যমে একটি ন্যায়-ভিত্তিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক সমাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বানও জানান অধ্যাপক ইউনূস। সূত্র: ইত্তেফাক



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top