কেয়ারের ৭৫বছর উদযাপন
সব সময় মানুষের জন্য কাজ করছে কেয়ার বাংলাদেশ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:০১
বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নেতৃস্থানীয় মানবিক সংস্থার নাম কেয়ার। কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশেও উন্নয়নের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সাহায্য সংস্থাটি। পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের মানুষের প্রয়োজন মেটাতে কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে কেয়ার বাংলাদেশ।
৭৫ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে প্রতিষ্ঠানটির সমৃদ্ধ ইতিহাস, বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন কেয়ার বাংলাদেশের শীর্ষপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে কেয়ার যাত্রা শুরু করে ১৯৪৯ সালে। কেয়ার বাংলাদেশ বর্তমানে একাধিক ক্ষেত্রে কাজ করছে যেমন – স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, নারী ও যুব ক্ষমতায়ন, হিউম্যানিটারিয়ান এন্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন এবং খাদ্য ও কৃষি ব্যবস্থায়ও কাজ করার লক্ষ্য রয়েছে।
কেয়ার বাংলাদেশের ২০৩০ দেশভিত্তিক কর্মকৌশল পরিকল্পনায় (কান্ট্রি প্রোগ্রাম স্ট্রাটেজি) মূলত চারটি প্রভাবক নির্ধারণ করা হয়েছে – লৈঙ্গিক সমতা (জেন্ডার ইকুয়ালিটি), স্থানীয় নেতৃত্ব (লোকালি লেড), বাজারভিত্তিক পন্থা (মার্কেট বেজড এপ্রচ) এবং সহনশীলতা উন্নীতকরণ (রেজিলিয়েন্স বিল্ডিং), যার মাধ্যমে কেয়ার বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১৫ মিলিয়ন বা ১.৫ কোটি মানুষ, বিশেষ করে নার্রী নেতৃত্ব এবং সহনশীল (রেজিলিয়েন্ট) জীবন নিশ্চিত করা।
কেয়ার ১৯৪৫ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা একটি নেতৃস্থানীয় মানবিক সংস্থা। সংকটময় সময়ে জরুরি সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে কেয়ার-এর সাত দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আমাদের জরুরি কার্যক্রমসমূহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণ, বিশেষ করে নারীদের চাহিদার উপর অগ্রাধিকার দেয় । ২০২২ অর্থবছরে কেয়ার ৬৯১টি প্রকল্পের মাধ্যমে বিশ্বের ৬৮টি দেশে কাজ করেছে এবং ২ কোটিরও (২৫.৪ মিলিয়ন) বেশি মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
২০২৩ অর্থবছরে কেয়ার বাংলাদেশ ৪৮টিরও বেশি প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৩ লাখ (৫.৩ মিলিয়ন) মানুষের কাছে পৌঁছেছে যেখানে ৬৪% ছিল নারী এবং ব্যাপ্তির দিক থেকে সকল কেয়ার দেশগুলোর মধ্যে কেয়ার বাংলাদেশ ২য় সর্বোচ্চ অবদানকারী হিসাবে স্থান পেয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সংস্থাটি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।