মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

যে কথা স্ত্রীকে বললে সর্বনাশ হয়ে যাবে

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:১৭

ছবি: সংগৃহীত

সুখী দাম্পত্য জীবনের বৈশিষ্ট হলো স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হলেও কিছু বিষয় আছে, যা সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করলে তা সম্পর্কের মধ্যে অস্বস্তি বা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এমন কিছু বিষয় আছে যা তার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করাই ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলি সম্পর্কে-

১. আত্মীয়দের গোপন সমস্যা: বাড়ির আত্মীয়দের কোনো গোপন সমস্যা, যা তাদের অনুমতি ছাড়া শেয়ার করা উচিত নয়।

২. আগের সম্পর্কের কথা: অতীতের প্রেম বা সম্পর্ক নিয়ে অপ্রয়োজনীয় তথ্য শেয়ার করলে তা থেকে অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।

৩. বন্ধু বা সহকর্মীর ব্যক্তিগত তথ্য: অন্যের ব্যক্তিগত বিষয় আপনার স্ত্রীর সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনারও সম্পর্কে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

৪. অফিসের গোপন তথ্য: আপনার কাজের গোপন কৌশল বা তথ্য শেয়ার করলে তা পেশাগতভাবে সমস্যার কারণ হতে পারে।

৫. অপ্রয়োজনীয় সমালোচনা: স্ত্রীর পরিবারের, বন্ধুবান্ধবের বা পছন্দের কোনো বিষয়ের অতিরিক্ত সমালোচনা করবেন না। এতে স্ত্রীর সঙ্গে আপনার সম্পর্কের অবনতি হতে পারে।

৬. আর্থিক সমস্যা বা ঋণের অবস্থা: আপনার আর্থিক সমস্যা বা ঋণ সম্পর্কিত জটিলতা তাকে অযথা মানসিক চাপ দিতে পারে। তবে কোনো বড় আর্থিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সঙ্গীকে জানানো গুরুত্বপূর্ণ।

৭. অন্য নারীর প্রশংসা: কোনো নারী সহকর্মী বা বন্ধুর অতিরিক্ত প্রশংসা করলে তা ঈর্ষা বা অবিশ্বাসের জন্ম দিতে পারে।

৮. তার শারীরিক বা মানসিক দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা: তার কোনো শারীরিক বা মানসিক সীমাবদ্ধতার কথা সামনে তুলে আনলে তা আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে।

৯. তার পেশাগত দক্ষতার বিষয়: তার ক্যারিয়ার বা পেশাগত দক্ষতা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা সম্পর্কের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

১০. গোপন পরিকল্পনা: আপনার গোপন সঞ্চয় বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, যা তাকে জানানো হলে ভুল–বোঝাবুঝির কারণ হতে পারে।

১১. অতীতের গোপন ক্ষোভ: কোনো পুরনো ক্ষোভ বা কষ্ট স্ত্রীর কাছে বলা সম্পর্কের মধ্যে উত্তেজনা এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। 

পারস্পারিক সম্মান না থাকলে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া অসম্ভব। সম্মান থাকলে তার হাত ধরে আসবে ভালোবাসাও। কেউ যদি তার স্ত্রীকে অসম্মান করে, অপমান করে কথা বলে, কষ্ট দেয় তবে সেই সম্পর্ক রং হারাতে বাধ্য। কারণ মানুষ অসম্মান মেনে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারে না। স্বামীর বলা একেকটি কথা স্ত্রীর বুকে তীর হয়ে বিঁধতে পারে। তাই রাগের বশে হোক বা অন্য যেকোনো সময় কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। কখনোই এই ৪ কথা আপনার স্ত্রীকে বলবেন না, কারণ এই কথাগুলো তাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়-

বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও

অনেকেই রাগের মাথায় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এমনটা কখনোই বলবেন না। কারণ একজন নারী একসঙ্গে সংসার করার জন্যই নিজের পরিবারকে ছেড়ে আসে। নতুন একটি জীবনের স্বপ্ন দেখে। নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। তাই তার ওপর রাগ করে বাড়ি ছাড়তে বলবেন না। কারণ বাড়ি ও সংসার আপনাদের দুজনেরই।

আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছো

আপনার সঙ্গে জীবন কাটাতে এসে নিজের অনেক ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা হয়তো ভুলে গেছেন আপনার স্ত্রী। আপনাকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই তাকে কখনো বলবেন না যে সে আপনার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। যদি কোনো বিষয়ে তার ওপর মনোক্ষুণ্ণ হন তবে ঠান্ডা মাথায় বসে তার সঙ্গে কথা বলুন। চেচামেচি কোনো সমাধান নয়। কারণ রাগের মাথায় মানুষ এমন অনেক ভুলভাল কথা বলে ফেলে, যার কারণে পরবর্তীতে সংসার টিকিয়ে রাখাই মুশকিল হয়ে যায়।

তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি

বলার আগে চিন্তা করুন। কারণ কথা একবার বলে ফেললে তা ফিরিয়ে আনা মুশকিল হয়ে যায়। আপনি যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন নিশ্চয়ই বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? তাহলে পরবর্তীতে স্ত্রীকে কখনো এই কথা বলবেন না যে, ‘তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি’। কারণ বিয়ের সিদ্ধান্তটি যদি ভুলও হয়, তার দায়ভার আপনার স্ত্রীর নয়, আপনার। সেই দায় তার ওপর চাপাবেন না। স্বামীর কাছ থেকে এমন কথা শুনলে স্ত্রীর কষ্ট পাওয়া খুবই স্বাভাবিক।

আমার কাছে তোমার মতামতের গুরুত্ব নেই

স্ত্রী মানে আপনার সবকিছুতেই তার অধিকার। সংসার চালাতে গিয়ে দুজনেরই মতামত সমান জরুরি। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন। কিন্তু সেসব না করে স্বেচ্ছাচারিতা করা এবং স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব না দেওয়া চরম অবহেলা। এমনটা কখনো করবেন না।

স্ত্রী বা জীবনের সঙ্গী একজন বিশেষ মানুষ। সম্পর্কের মধ্যে শান্তি এবং সমঝোতা বজায় রাখতে হলে কিছু কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। অনেক সময় অজান্তেই আমরা এমন কিছু মন্তব্য করি, যা আমাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। কিছু কথা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আমাদের সঙ্গীর মনে আঘাত দিতে পারে, যার ফলে সম্পর্কের মাধুর্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই, এখানে এমন সাতটি কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা আপনার স্ত্রীকে কখনোই বলা উচিত নয়।

১. “তুমি তো আগের মতো নেই।”
এই ধরনের মন্তব্য কোনো মহিলার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হতে পারে। সবারই বয়স বাড়ে এবং জীবনযাত্রার মধ্যে পরিবর্তন আসে। আপনার স্ত্রীর শারীরিক বা মানসিক পরিবর্তন নিয়ে এমন কথা বলা তার আত্মবিশ্বাসে আঘাত করতে পারে। পরিবর্তে, তার ভাল কাজ বা গুণাবলীর প্রশংসা করুন।

২. “তুমি কখনোই ঠিকভাবে কিছু করতে পারো না।”
এই ধরনের কথা একেবারে আত্মবিশ্বাসহীন করে তোলে মানুষকে। যদি আপনার স্ত্রীর কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত ভুল হয়, তাহলে তাকে সহানুভূতির সাথে বোঝান এবং সমাধানের পথ দেখান। তাতে তার আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে এবং সম্পর্কেও সমঝোতা থাকবে।

৩. “তুমি তো সবসময়ই অভিযোগ করো।”
আপনার স্ত্রীর অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি। এমন মন্তব্য তার অনুভূতিকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। সম্পর্কের মধ্যে যেকোনো সমস্যার সমাধানে একে অপরকে শ্রদ্ধা এবং সহানুভূতি দিয়ে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

৪. “আমার মা ঠিক বলেছে।”
এটা এমন একটি মন্তব্য যা অনেক পুরুষই ভুলবশত করে থাকেন। তবে, স্ত্রীর সামনে শাশুড়ির প্রশংসা বা সমালোচনা করার আগে তার অনুভূতি সম্পর্কে ভাবুন। এটি সম্পর্কের মধ্যে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. “তুমি কেন এত খরচ করো?”
অর্থনৈতিক বিষয়গুলো সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, তবে সরাসরি বা তীব্রভাবে স্ত্রীর খরচের বিষয়ে কথা বললে তা তার কাছে সমালোচনা মনে হতে পারে। আলোচনা করার সময় সহানুভূতির সাথে এবং যৌথভাবে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

৬. “আমার প্রাক্তন-কে তুমি কখনোই ছাড়িয়ে যেতে পারবে না।”
পূর্বের সম্পর্কের তুলনা বর্তমান সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। স্ত্রীর সাথে এমন তুলনা তার প্রতি অবমূল্যায়ন হতে পারে। আপনার স্ত্রীকে তার নিজস্ব গুণাবলি এবং গুরুত্ব বোঝান।তাকে যথাযথভাবে সম্মান করুন।

৭. “এটা তোমার দায়িত্ব, তোমাকে করতেই হবে।”
এই ধরনের মন্তব্য স্ত্রীর স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিত্বে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সম্পর্কের মধ্যে সমান ভূমিকা এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া উচিত। সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত, চাপ সৃষ্টি কোনো সমাধান নয়।

একটি সুখী ও সফল সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সহানুভূতি অপরিহার্য। যদি আপনি আপনার স্ত্রীর অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দেন এবং কিছু কথার প্রতি সতর্ক থাকেন, তবে আপনার সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। মনে রাখবেন, সম্পর্কের শক্তি শুধুমাত্র ভালো সময়ের মধ্যেই নয়, খারাপ সময়েও একে অপরকে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হয়।

দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই ভালোবাসা, সহমর্মিতা, আন্তরিকতা এবং আত্মত্যাগ অনেক জরুরি। এর একটির অভাব হলেই নষ্ট হয় সংসারের শান্তি। দাম্পত্য জীবনে যা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে সে কাজটি না করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অনেকেই আছেন স্ত্রীর কাছে সব কথা অকপটে বলে দেন। হিসাব করে তো স্ত্রীকে কেউ কথা বলেন না। তবু কিছু কথা না বলাই ভালো।

আসুন জেনে নিই যে ৬ কথা স্ত্রীকে ভুলেও বলবেন না:

১. তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল:

স্ত্রী যদি কোনো ভুল করে, তবে কখনই বলবেন না– তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। ঝগড়ার সময় এ ধরনের কথাগুলোই সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তুলতে পারে।

২. তুমি স্বার্থপর:

স্বামী ও স্ত্রী একে অপরকে কখনই বলবেন না যে তুমি এত স্বার্থপর কেন? স্ত্রী যদি আপনার পছন্দমতো কাজ না করে ও তাকে দোষী মনে হতে পারে। যদি সে সত্যিই স্বার্থপরের মতো আচরণ করে থাকে, তবু তাকে এ কথা বলতে যাবেন না।

৩. সুন্দর করে সাজতে পারো না:

এ ধরনের কথা স্ত্রীকে কখনোই বলবেন না। কারণ এতে করে সে মনে কষ্ট পায়। তাকে সম্মান দিয়ে কথা বলুন।

৪.খাওয়া নিয়ে কোনো কথা নয়:

না বুঝে বা বুঝেই স্ত্রীর খাবার খাওয়া নিয়ে স্বামী দু-চারটা কথা বলেন অনেক সময়। সাধারণ আদবকেতার মধ্যে এটি পড়ে। কোনো মানুষকে তাঁর খাওয়ার বিষয়ে কিছু বলা উচিত নয়। কেউ বেশি খান, কেউ কম—একেক জনের খাদ্যাভ্যাস একেক রকম। সেটা মাথায় রাখতে হবে। স্ত্রীর প্রতি সচেতন থাকলে বুঝিয়ে খুবই বিনয়ের সঙ্গে বলবেন। কোনোভাবেই যেন ব্যঙ্গ না হয়।

৫. সারা দিন কী করছ, কিছু তো করতে পারো না:

অনেক স্বামীর মুখে এ ধরনের কথা শোনা যায়। গৃহিণী তো বটেই, নিস্তার মেলে না কর্মজীবী নারীরও। সহযোগিতা না করে ঘরে ফিরে কোনো কোনো স্বামী বলেন, অন্যের বউ সবই সামলায়। তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না। তোমার মায়ের মতো হয়েছ।

এগুলো বলা মানে হলো, আপনার মনমানসিকতা কতটা নিচু, তার প্রকাশ করে।

৬. আমার মায়ের মতো করো:

ধরেন, একদিন শখ করে স্ত্রী ইলিশ মাছ রান্না করলেন। খেতে খেতে আপনি বললেন, আমার মায়ের মতো হয়নি। মায়ের কাছ থেকে শিখে নিয়ো। সাধারণত স্ত্রীরা এ ধরনের কথা মেনে নিতে পারেন না। শাশুড়ির সঙ্গে নিজের তুলনা করলে গুরুত্ব কমে যাচ্ছে কি না, এ ধরনের একটা জটিলতা তৈরি হয় তাঁর মধ্যে। তাই স্বামীকে মনে রাখতে হবে, যাঁর প্রশংসা তাঁর সামনে তাঁকে করুন। কাউকে ছোট করে নয়। সূত্র: হাফিংটনপোস্ট, ফ্যামিলি ম্যাগাজিন।

দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ রাখা কঠিন কিছু নয়। তবে এখানেও ছোট ছোট বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। আপনার কথা যেন আপনার সঙ্গীকে কোনোভাবেই আঘাত না করে সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। আপনারা একে অন্যের প্রতিযোগী নন। মজা করে অনেককিছুই বলা যায় তবে তা যেন কখনো সীমা লঙ্ঘন না করে। কথা বলার ক্ষেত্রে এই সতর্কতা আপনাদের সম্পর্ককে আরও বেশি স্বচ্ছ ও সুন্দর করে তুলবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্ত্রীকে কোন কথাগুলো কখনোই বলবেন না-

১. ‘আই ডোন্ট কেয়ার’

এই কথাটি আসলে দাম্পত্য জীবনে মানানসই নয়। কারণ পরস্পরকে কেয়ার করার কারণেই আপনারা স্বামী-স্ত্রী। আপনি যদি আপনার স্ত্রীর অনুভূতির সঙ্গে একমত না হন তবে তা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভালোভাবেও জানানো যায়। তাকে বলতে পারেন যে তার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ হলেও আপনি এর সঙ্গে একমত নন।

২. ‘সব দোষ তোমার’

আপনি যদি সব সময় তাকে দোষ দিতে থাকেন তাহলে একসময় সে ভুলটাকেই ঠিক ভাবতে শুরু করবে। দোষে-গুণেই মানুষ। আপনার নিজেরও নিশ্চয়ই অনেক দোষ রয়েছে। তাই অপরের দোষ ধরার আগে নিজের ভুলগুলো স্বীকার করুন এবং শুধরে নিন। কারণ দোষারোপ করলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তার ভুল হলে সেটি ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে বলুন।

৩. ‘আমি তোমাকে এটা করতে বলেছি’

স্ত্রীর সঙ্গে মালিক-চাকরের সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসুন। সে আপনার সঙ্গী, ভৃত্য নয়। তাই তাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে হলে সুন্দর করে অনুরোধ করুন। সুন্দর কথা দিয়ে অনেক কিছুই করানো সম্ভব। কঠোরভাবে বলবেন না বা ধমকের সুরে কথা বলবেন না। এতে সে আরও বেঁকে বসতে পারে। এর বদলে দুজনে মিলেই কাজটি করার চেষ্টা করুন বা নিজে না পারলে তাকেই সম্পন্ন করতে অনুরোধ করুন।

‌৪. ‘তুমি কত বোকা!’

ভুল সময়ে কঠোর শব্দ ঘৃণা হিবেবে প্রকাশ পেতে পারে। তাই সুযোগ পেলেই স্ত্রীর বুদ্ধির প্রশংসা করুন, ভুলেও তাকে বোকা বলতে যাবেন না। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে একটি সুস্থ সম্পর্ক নষ্ট না হয়। তাই বুদ্ধিমান হয়ে থাকলে এদিকে খেয়াল রাখবেন।

৫. প্রাক্তনের তুলনা

প্রাক্তনের সঙ্গে স্ত্রীর তুলনা করা ধ্বংসের একটি উন্মুক্ত আমন্ত্রণ। বিভিন্ন বিষয়ে মতের অমিল হলে তা নানা উপায়ে, গঠনমূলকভাবে বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রাক্তনের সঙ্গে তুলনা করলে তা আপনার স্ত্রী কখনোই ভালোভাবে মেনে নেবে না। তাই শুধু প্রাক্তন নয়, বরং কারও সঙ্গেই তুলনা করবেন না। কারণ একজন মানুষ কখনো আরেকজন মানুষের মতো হতে পারে না।

ঠাট্টা বা রসিকতা নারীরা পছন্দ করে ঠিকই কিন্তু কিছু কিছু কথা যেন তীরের ফলার মতো। যা আহত করে। আপনি যদি আপনার স্ত্রীকেও ঠাট্টাচ্ছলে কটু কথা বলেন তবে আপনার রেহাই নেই। বিচ্ছেদ নিশ্চিত। জানুন ঠাট্টা করে স্ত্রীকে কোন পাঁচটি কথা কখনোই বলবেন না।

​১. তোমার বাবার মতো খারাপ লোক নেই​

নারীদের কাছে তাদের বাবারা হলেন সুপারহিরো। তাই তাদের নিয়ে কথা বলার আগে সচেতন হন। এমনকি মজা করেও তাদের নামে খারাপ কথা বলতে যাবেন না। এই কাজটা করলেই কিন্তু ফেঁসে যাবেন। আপনার কথা স্ত্রীর বুকে গিয়ে পুরো শেলের মতো বিঁধবে। তখন ঠেলা সামলাতে পারবেন না। তাই আজ থেকে নিজের মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা করুন।

২. তুমি মোটা হয়ে যাচ্ছ​

মজা করেও স্ত্রীকে মোটা বলবেন না। এটা একধরনের বডি শেমিং। আর বডি শেমিং সব সময়ই নিন্দনীয়। সে যতই আপনি নিজের স্ত্রীকে বলুন না কেন। আর মনে রাখবেন, স্বামীর মুখে এহেন নিন্দাবাক্য শোনার পর স্ত্রীর মন থেকে ভালোবাসার প্রতিও বিশ্বাস উঠে যায়।

৩. তুমি বেশি বোঝো​

মজার ছলে স্ত্রীকে সব বোদ্ধা বললেও কিন্তু মহা ফাঁসা ফেঁসে যাবেন। এই কথাটা বলার পরই দেখবেন স্ত্রীর মুখ ভার হয়ে গিয়েছে। তিনি আর আপনার সঙ্গে একটা কথাও বলবেন না। এমনকি আপনার সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতেও তিনি নারাজ হতে পারেন। তাই তো স্ত্রী সব বিষয়ে কথা বললেও, তাকে কটাক্ষ করতে যাবেন না। বরং চুপচাপ তার কথা শুনতে থাকুন। এতেই দাম্পত্যে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

৪. দুই পয়সা কামিয়ে দেখাও তো দেখি​

অনেক সময় স্বামীরা ঝোঁকের বশেই স্ত্রীকে এই কথাটা বলে দেন। হয়তো তারা কথাটা এভাবে বলতে চান না, তবে মুখ ফসকে বলে ফেলেন। আর তাতেই স্ত্রীর মনে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়। আর এই ঝড়ের কবলে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সংসারের চেনা পরিসর। তাই আর যাই করুন না কেন, স্ত্রীর উপার্জন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা চলবে না। নইলে যে ফেঁসে যাবেন।

​৫. তোমার মতো অলস দেখিনি​

নারীরা অলস অপবাদ ঘুনাক্ষরেও শুনতে চান না। বিশেষত, স্বামীর মুখ থেকে এই শব্দটা শুনলে তারা বিশেষভাবে চটে যান। এমনকি তাদের গ্রাস করে হিনমন্যতা। তাই সংসারকে সুস্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে স্ত্রীকে রসিকতার ছলেও এই কথা বলবেন না। নইলে যে বড় ফাঁসা ফেঁসে যেতে হবে। এমনকি শান্ত দাম্পত্যে হানা দিতে পারে জটিল সমস্যা। তাই সাবধান হন।

দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেই ভালোবাসা, সহমর্মিতা, আন্তরিকতা এবং আত্মত্যাগ অনেক জরুরি। এর একটির অভাব হলেই নষ্ট হয় সংসারের শান্তি। তবে সংসারের সুখ-শান্তির জন্য কিছু ব্যাপারে স্বামীর দায়িত্ব কিছুটা বেশি। কেননা তার সামান্য একটি কথায় উড়ে যেতে পারে এতদিন ধরে গড়ে তোলা সংসারের সুখপাখিটি।

প্রেম, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা ও নির্ভরযোগ্যতা বিয়ের চারটি স্তম্ভ। যখন একটি স্তম্ভ দুর্বল হয়ে যায়, সম্পর্ক নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তাই সংসার জীবনে অনেক কিছুই মেনে চলতে হবে। স্ত্রীকে মুখ ফসকে সব কথা বলা যাবে না। কিছু কথা রয়েছে যা দাম্পত্য জীবনের সুখ কেড়ে নিতে পারে।

আসুন জেনে নিই যে ৪ কথা স্ত্রীকে ভুলেও বলবেন না-

তুমি স্বার্থপর : স্বামী ও স্ত্রী একে অপরকে কখনই বলবেন না যে তুমি এত স্বার্থপর কেন? স্ত্রী যদি আপনার পছন্দমতো কাজ না করে ও তাকে দোষী মনে হতে পারে। যদি সে সত্যিই স্বার্থপরের মতো আচরণ করে থাকে, তবু তাকে এ কথা বলতে যাবেন না।

তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল : স্ত্রী যদি কোনো ভুল করে, তবে কখনই বলবেন না– তোমাকে বিয়ে করা জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল। ঝগড়ার সময় এ ধরনের কথাগুলোই সম্পর্ক আরও তিক্ত করে তুলতে পারে।

তোমার চেয়ে আমার চাকরি গুরুত্বপূর্ণ : প্রতিটি কাজে একে অপরকে সম্মান করুন। স্বামীর চেয়ে আপনার আয় বেশি হলেও স্বামীকে কখনই বলা যাবে না যে– তোমার চেয়ে আমার চাকরি গুরুত্বপূর্ণ। তা হলে তিনি কষ্ট পাবেন।

তোমার মাকে পছন্দ করি না : শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন। অনেককে আপনি অপছন্দ করতেই পারেন। তাই বলে রাগের মাথায় ‘আমি তোমার মাকে ঘৃণা করি’ বা ‘আমি তোমার বাবাকে ঘৃণা করি’- এ ধরনের কথা বলবেন না।

পারস্পারিক সম্মান না থাকলে দাম্পত্য জীবনে সুখী হওয়া অসম্ভব। সম্মান থাকলে তার হাত ধরে আসবে ভালোবাসাও। কেউ যদি তার স্ত্রীকে অসম্মান করে, অপমান করে কথা বলে, কষ্ট দেয় তবে সেই সম্পর্ক রং হারাতে বাধ্য। কারণ মানুষ অসম্মান মেনে নিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে পারে না। স্বামীর বলা একেকটি কথা স্ত্রীর বুকে তীর হয়ে বিঁধতে পারে। তাই রাগের বশে হোক বা অন্য যেকোনো সময় কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। কখনোই এই ৪ কথা আপনার স্ত্রীকে বলবেন না, কারণ এই কথাগুলো তাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়-

বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাও

অনেকেই রাগের মাথায় স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এমনটা কখনোই বলবেন না। কারণ একজন নারী একসঙ্গে সংসার করার জন্যই নিজের পরিবারকে ছেড়ে আসে। নতুন একটি জীবনের স্বপ্ন দেখে। নিজের মধ্যে অনেক পরিবর্তন নিয়ে আসে। তাই তার ওপর রাগ করে বাড়ি ছাড়তে বলবেন না। কারণ বাড়ি ও সংসার আপনাদের দুজনেরই।

আমার জীবন নষ্ট করে দিয়েছো

আপনার সঙ্গে জীবন কাটাতে এসে নিজের অনেক ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার কথা হয়তো ভুলে গেছেন আপনার স্ত্রী। আপনাকে ভালো রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই তাকে কখনো বলবেন না যে সে আপনার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। যদি কোনো বিষয়ে তার ওপর মনোক্ষুণ্ণ হন তবে ঠান্ডা মাথায় বসে তার সঙ্গে কথা বলুন। চেচামেচি কোনো সমাধান নয়। কারণ রাগের মাথায় মানুষ এমন অনেক ভুলভাল কথা বলে ফেলে, যার কারণে পরবর্তীতে সংসার টিকিয়ে রাখাই মুশকিল হয়ে যায়।

তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি

বলার আগে চিন্তা করুন। কারণ কথা একবার বলে ফেললে তা ফিরিয়ে আনা মুশকিল হয়ে যায়। আপনি যখন বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন নিশ্চয়ই বুঝেশুনে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? তাহলে পরবর্তীতে স্ত্রীকে কখনো এই কথা বলবেন না যে, ‘তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি’। কারণ বিয়ের সিদ্ধান্তটি যদি ভুলও হয়, তার দায়ভার আপনার স্ত্রীর নয়, আপনার। সেই দায় তার ওপর চাপাবেন না। স্বামীর কাছ থেকে এমন কথা শুনলে স্ত্রীর কষ্ট পাওয়া খুবই স্বাভাবিক।

আমার কাছে তোমার মতামতের গুরুত্ব নেই

স্ত্রী মানে আপনার সবকিছুতেই তার অধিকার। সংসার চালাতে গিয়ে দুজনেরই মতামত সমান জরুরি। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই আপনার স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে নেবেন। কিন্তু সেসব না করে স্বেচ্ছাচারিতা করা এবং স্ত্রীর মতামতের গুরুত্ব না দেওয়া চরম অবহেলা। এমনটা কখনো করবেন না।

জঞ্জালে ভরা মিথ্যা এই শহরে সুখে সংসার করতে চাইলে মুখে হাসি থাকা চাই-ই চাই। একমাত্র সাবলীল আনন্দই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। নচেৎ, দৈন্য জীবনের ভারে ক্লান্ত হবে দাম্পত্য। হারিয়ে যাবে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ। অসম্ভব হবে একসঙ্গে থাকা। তাই তো সম্পর্কের ক্যানভাসে রঙিন ফুল আঁকতে চাইলে একে অপরের সঙ্গে হেসেখেলে জীবনযাপন করতে হবে।

তবে মুশকিল হলো, কিছু পুরুষ এই বিষয়টাকে অত্যন্ত সিরিয়াসলি নিয়ে ফেলেন। তাই তারা দাম্পত্যের পরিসরে সব সময় হাসিঠাট্টা করতে চান। এই কাজটা করতে গিয়ে তারা স্ত্রীকে নিয়ে এমন কিছু মজার কথা বলে ফেলেন, যা নারী মনে তৈরি করে গভীর ক্ষত। যার ফলস্বরূপ স্বামীর সঙ্গে দূরত্বও বাড়িয়ে নিতে পারেন স্ত্রী।

তাই দাম্পত্যের পরিসরে ‘জোকস’ করার আগেও সাবধান হতে হবে। অবশ্যই ঝোঁকের বশেও এই পাঁচ বিষয় নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মজা করবেন না। নইলে কিন্তু কপালে নাচবে বিচ্ছেদের ফাঁড়া। চলুন জেনে নিই সেই পাঁচ কথা সম্পর্কে।

​তোমার বাবার মতো খারাপ লোক নেই​

একটা মেয়ের কাছে তার বাবা হলেন সুপারহিরো। তাই বাবাকে নিয়ে কথা বলার আগে সচেতন হোন। মজা করেও শ্বশুরের নামে খারাপ কথা বলবেন না। নইলে কিন্তু ফেঁসে যাবেন। আপনার কথা স্ত্রীর বুকে গিয়ে পুরো শেলের মতো বিঁধবে। তখন ঠেলা সামলাতে পারবেন না। তাই আজ থেকে নিজের মুখে লাগাম পরানোর চেষ্টা করুন।

তুমি মোটা হয়ে যাচ্ছো​

মজা করেও স্ত্রীকে মোটা বলবেন না। এটা এক ধরনের বডি শেমিং, যা সব সময়ই নিন্দনীয়। সে যতই আপনি নিজের স্ত্রীকে বলুন না কেন! মনে রাখবেন, স্বামীর মুখে এহেন নিন্দাবাক্য শোনার পর স্ত্রীর মন থেকে ভালোবাসার প্রতিও বিশ্বাস উঠে যায়। তাই সম্পর্কের ভালো চাইলে নিজেকে আটকান বন্ধু।

​তুমি কি বেশি বোঝো?​

মজার ছলে স্ত্রীকে সব বোদ্ধা বললেও কিন্তু মহা ফাঁসা ফেঁসে যাবেন। এই কথাটা বলার পরই দেখবেন স্ত্রীর মুখ ভার হয়ে গেছে। তিনি আর আপনার সঙ্গে একটা কথাও বলবেন না। এমনকি আপনার সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতেও নারাজ হতে পারেন। তাই স্ত্রীর সব বিষয়ে কথা বললেও তাকে কটাক্ষ করবেন না। বরং চুপচাপ তার কথা শুনুন। এতেই দাম্পত্যে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে।

দুই পয়সা কামিয়ে দেখাও তো দেখি​

অনেক সময় স্বামীরা ঝোঁকের বশেই স্ত্রীকে এই কথাটা বলে দেন। হয়তো তারা কথাটা এভাবে বলতে চান না, তবে মুখ ফসকে বলে ফেলেন। তাতেই স্ত্রীর মনে তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের কবলে পড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় সংসারের চেনা পরিসর। তাই আর যাই করুন না কেন, স্ত্রীর উপার্জন নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করা চলবে না। নইলে যে ফেঁসে যাবেন।

তোমার মতো অলস দেখিনি​

মহিলারা অলস অপবাদ ঘুণাক্ষরেও শুনতে চান না। বিশেষত, স্বামীর মুখ থেকে এই শব্দটা শুনলে তারা বিশেষভাবে চটে যান।

এমনকি মহিলাদের গ্রাস করে হীনম্মন্যতা। তাই সংসারকে সুস্থভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে থাকলে স্ত্রীকে খিল্লির মুডেও এই কথা বলবেন না। নইলে যে বড় ফাঁসা ফেঁসে যেতে হবে। এমনকি শান্ত দাম্পত্যে হানা দিতে পারে জটিল সমস্যা। তাই সাবধান হোন।

স্ত্রী বা জীবনের সঙ্গী একজন বিশেষ মানুষ। সম্পর্কের মধ্যে শান্তি এবং সমঝোতা বজায় রাখতে হলে কিছু কথা বলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। অনেক সময় অজান্তেই আমরা এমন কিছু মন্তব্য করি, যা আমাদের সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করতে পারে। কিছু কথা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আমাদের সঙ্গীর মনে আঘাত দিতে পারে, যার ফলে সম্পর্কের মাধুর্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই, এখানে এমন সাতটি কথা তুলে ধরা হয়েছে, যা আপনার স্ত্রীকে কখনোই বলা উচিত নয়।

১. “তুমি তো আগের মতো নেই।”
এই ধরনের মন্তব্য কোনো মহিলার জন্য অত্যন্ত কষ্টকর হতে পারে। সবারই বয়স বাড়ে এবং জীবনযাত্রার মধ্যে পরিবর্তন আসে। আপনার স্ত্রীর শারীরিক বা মানসিক পরিবর্তন নিয়ে এমন কথা বলা তার আত্মবিশ্বাসে আঘাত করতে পারে। পরিবর্তে, তার ভাল কাজ বা গুণাবলীর প্রশংসা করুন।

২. “তুমি কখনোই ঠিকভাবে কিছু করতে পারো না।”
এই ধরনের কথা একেবারে আত্মবিশ্বাসহীন করে তোলে মানুষকে। যদি আপনার স্ত্রীর কোনো কাজ বা সিদ্ধান্ত ভুল হয়, তাহলে তাকে সহানুভূতির সাথে বোঝান এবং সমাধানের পথ দেখান। তাতে তার আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি পাবে এবং সম্পর্কেও সমঝোতা থাকবে।

৩. “তুমি তো সবসময়ই অভিযোগ করো।”
আপনার স্ত্রীর অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া খুবই জরুরি। এমন মন্তব্য তার অনুভূতিকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। সম্পর্কের মধ্যে যেকোনো সমস্যার সমাধানে একে অপরকে শ্রদ্ধা এবং সহানুভূতি দিয়ে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

৪. “আমার মা ঠিক বলেছে।”
এটা এমন একটি মন্তব্য যা অনেক পুরুষই ভুলবশত করে থাকেন। তবে, স্ত্রীর সামনে শাশুড়ির প্রশংসা বা সমালোচনা করার আগে তার অনুভূতি সম্পর্কে ভাবুন। এটি সম্পর্কের মধ্যে নানা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৫. “তুমি কেন এত খরচ করো?”
অর্থনৈতিক বিষয়গুলো সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, তবে সরাসরি বা তীব্রভাবে স্ত্রীর খরচের বিষয়ে কথা বললে তা তার কাছে সমালোচনা মনে হতে পারে। আলোচনা করার সময় সহানুভূতির সাথে এবং যৌথভাবে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করুন।

৬. “আমার প্রাক্তন-কে তুমি কখনোই ছাড়িয়ে যেতে পারবে না।”
পূর্বের সম্পর্কের তুলনা বর্তমান সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। স্ত্রীর সাথে এমন তুলনা তার প্রতি অবমূল্যায়ন হতে পারে। আপনার স্ত্রীকে তার নিজস্ব গুণাবলি এবং গুরুত্ব বোঝান।তাকে যথাযথভাবে সম্মান করুন।

৭. “এটা তোমার দায়িত্ব, তোমাকে করতেই হবে।”
এই ধরনের মন্তব্য স্ত্রীর স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিত্বে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সম্পর্কের মধ্যে সমান ভূমিকা এবং দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়া উচিত। সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা উচিত, চাপ সৃষ্টি কোনো সমাধান নয়।

একটি সুখী ও সফল সম্পর্কের জন্য পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস এবং সহানুভূতি অপরিহার্য। যদি আপনি আপনার স্ত্রীর অনুভূতিগুলোকে গুরুত্ব দেন এবং কিছু কথার প্রতি সতর্ক থাকেন, তবে আপনার সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। মনে রাখবেন, সম্পর্কের শক্তি শুধুমাত্র ভালো সময়ের মধ্যেই নয়, খারাপ সময়েও একে অপরকে সম্মান ও ভালোবাসা দিয়ে গড়ে তোলা হয়।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top