গুম-বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৩৮
ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছেন গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের ঘটনা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়াদের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্বজনরা। সমাবেশে বাবা-মা হারানো অনেক সন্তান উপস্থিত হয়েছেন। তারা বক্তব্য দিতে গেলেই সমাবেশস্থলে হৃদয়বিদারক পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। সমাবেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন। সমাবেশ ৪টা পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চলছে।
সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, ‘একটি ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী শাসক কতটা ভয়ংকর হতে পারে, গত ১৫, ১৬ ও ১৭ বছরে আমরা-আপনারা এ জাতি বাস্তবে দেখেছে এবং অনেক সহ্য করেছে। অনেকে পাশ থেকে গুম হয়েছে, খুনের শিকার হয়েছে। আল্লাহ তা’আলার হুমুকে হয়তোবা আমরা জীবনে বেঁচে আছি। তবে আমাদের সামনে অনেকে আহত ও নির্যাতিত হয়ে বসে আছে। যারা দীর্ঘ ১৫ বছরে এই কাজের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের সবাইকে শান্তির আওতার আনার দাবি জানিয়েছেন এই নেতা।'
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘যারা গত ১৬ বছর ধরে জেল-জুলুম অত্যাচার, গুম-খুন এবং হত্যার সংস্কৃতি বজায় রেখেছে তাদেরকে কারা এই বাংলাদেশ থেকে সেভ এক্সিট দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। দেশের প্রতিটি জায়গা থেকে ফেসিজমকে বিতাড়িত করতে হবে।
৭১ কে পুঁজি করে একে আওয়ামী লীগকরণ করেছে, তাদের বিচার হতে হবে। আর যারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন, তাদের খুঁজে বের করতে হবে। তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না। ভারত প্রসঙ্গ টেনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, তারা যেন টেরোরিস্টদের আশ্রয় স্থল হয়ে না ওঠে। ভারতের সঙ্গে নতজানু কূটনীতি আর নয়।’
অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত আছেন- বিএনপি নেতা মঈন খান ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াত নেতা গোলাম পরওয়ার, মানবাধিকার কর্মী নূর খান; গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী ও আখতার হোসেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কার্যালয়ের সিনিয়র মানবাধিকার উপদেষ্টা হুমা খান;এবং মায়ের ডাকের প্রতিষ্ঠাতা হাজেরা খাতুন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।