তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:১৬

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৭ দিনের মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে সরকারের স্পষ্ট নীতি ঘোষণা করা হবে— এমন আশ্বাসে সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মহাখালীর রেলগেটে অবরোধ কর্মসূচির শেষে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এমন কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার যুগ্ম সচিব মো. নুরুজ্জামান, যুগ্ম সচিব আব্দুর রহমান এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক শিপ্রা রাণী মন্ডলের সঙ্গে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১৫ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন এবং আড়াই ঘণ্টাব্যাপী আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, খুব শিগগিরই ১৫ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ শিক্ষক পদায়ন করা হবে। কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসিক ও পরিবহন সমস্যার সমাধান করা হবে এবং কলেজ সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫ বিঘা জমি পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিতুমীর কলেজের ছাত্রবাসের জন্য নির্মিত ৭টি ভবন পুননির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় গবেষণা লাইব্রেরি ও অডিটরিয়াম নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষক সংকটের বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং খুব শিগগিরই ১৫২ জন নতুন শিক্ষক পদায়ন করা হবে। এছাড়া, ২০২৪-২৫ সেশনের অনার্স প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কলেজ, মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একযোগে সিদ্ধান্ত নেবে।

পরে শিক্ষার্থীরা তাদের চলমান আন্দোলন ও আমরণ অনশন কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সরকারকে তাদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে আগামী সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন। একইসঙ্গে আগামী ৭ দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন করে তিতুমীরকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না করা হলে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে পুনরায় কর্মসূচি শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হচ্ছে —

১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।

২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবানঅনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।

৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুইটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয়
সংযোজন করতে হবে।

৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।

৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top