শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

বায়ান্নের রক্ত ঝরা দিনের স্মৃতি নিয়ে ফিরে এসেছে অমর একুশ। মাতৃভাষা প্রাণের চেয়েও প্রিয়-- একুশে ফেব্রুয়ারিতে জীবন দিয়ে তা প্রমাণ করেছেন ভাষা শহীদেরা। জাতির সূর্য সন্তান ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বিভিন্ন সংগঠন ও নানা বয়সী মানুষ ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানান ভাষা শহীদদের প্রতি। তাদের চাওয়া একুশের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক আর বৈষম্যমুক্ত।

বিভিন্ন সংগঠন থেকে শুরু করে সব শ্রেণিপেশার মানুষ ফুল হাতে নিয়ে আসছেন শ্রদ্ধা জানাতে। পিছিয়ে নেই শিশুরাও। তারা বাবা-মায়ের সঙ্গে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে শামিল হয়। শুক্রবার ( ২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পলাশী মোড়ের প্রবেশ পথ খুলে দেওয়া হয়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে।

এর আগে, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও বিচার বিভাগের বিচারপতিরা শ্রদ্ধা জানান। তাদের পরে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।

শহীদ মিনার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যানার, ফুল ও পুষ্পমাল্যসহ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর নানান উপকরণ হাতে নিয়ে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কণ্ঠে সুর ওঠে, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।’ শ্রদ্ধা জানাচ্ছে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনও।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেকের মধ্যেই দেখা গেছে ৫ আগস্টের অনুপ্রেরণা। বেসরকারি চাকরিজীবী জাকারিয়া মাহমুদ বলেন, ১৯৫২ সালে পূর্বসূরিরা ভাষার জন্য জীবন দিছে বলেই আজ আমরা মায়ের ভাষা বাংলায় কথা বলতে পারছি। একইভাবে ৫ আগস্ট জাতিকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে অসংখ্য প্রাণ শহীদ হয়েছে। আজ ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি তাদেরও শ্রদ্ধা জানাতে চাই।

এদিকে দিবসটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন রয়েছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top