৫ আগস্ট ছাত্রজনতার দুর্বার গণআন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। শেখ হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর গা ঢাকা দিয়েছেন দলটির বেশিরভাগ বড় নেতা। তাদের মধ্যে অন্যতম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ক্ষমতায় থাকাকালীন বিলাসী ও সৌখিন এ নেতার সঙ্গে বিভিন্ন নায়িকা ও মডেলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছিল নিয়মিত ঘটনা। অনেক নায়িকার সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ব্যাপক গুঞ্জন ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
যাতে প্রকাশ পেত অনেক নায়িকাদের সঙ্গে তার নিবিড় সম্পর্কের রসায়ন। এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত আলোচনা-সমালোচনা হতো নেটিজেনদের মুখে। কিন্তু প্রকাশ্যে সেগুলো নিয়ে কেউ কথা বলতে পারতেন না। কিন্তু, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে সাবেক সড়ক যোগাযোযোগ ও সেতুমন্ত্রীকে নিয়ে।
এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলো তার একটি কললিস্ট। ওই কললিস্ট অনুযায়ী, ৫ আগস্টের আগে-পরে দুই মাসে অসংখ্য নম্বরে কথা বলেছেন কাদের। যেখানে অনেক নায়িকা, মডেল, অভিনেত্রী ও নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার বিষয়টি উঠে এসেছে।
ওই কললিস্টে নায়িকা কেয়া, মিস বাংলাদেশ ফারজানা, অ্যানজেনা এলিনসহ মডেল নায়িকারা যেমন আছেন, তেমনি আছেন ময়মনসিংহের নেত্রী কবিতাও।
বেসরকারি এক টেলিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, ৫ আগস্ট নায়িকা সোহানা সাবাসহ প্রয়াত নায়িকা মেঘলার সঙ্গেও একাধিকবার যোগাযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
সাবেক সেতুমন্ত্রীর ৫ আগস্টসহ আগের এবং পরে কললিস্টের সিডিআর কপির কিছু অংশ প্রকাশ করেন প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। এই সিডিআর কপি বের হওয়ার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ওবায়দুল কাদেরের কললিস্ট।
এর আগে, দেশের বিভিন্ন লোকেশনে ওবায়দুল কাদের আছেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিকবার খবর ছড়িয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানও চালিয়েছে তার খোঁজে। তবে, কোথাও তার সন্ধান মেলেনি। গুঞ্জন আছে, অন্যান্য নেতাদের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন ওবায়দুল কাদেরও।
তবে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওবায়দুল কাদেরের ব্যবহার করা সিমের লোকেশন ও কললিস্ট ভাইরাল হয়েছে। তবে ওই কল লিস্টের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। ভাইরাল ওই তালিকায় দেখা যায়, সর্বশেষ ৫ আগস্টের দিন দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে তার ফোন ট্র্যাক লোকেশন ছিল মোহাম্মদপুর।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।