ফিলিস্তিনিদের জন্য সোহরাওয়ার্দীতে লাখো মানুষের মোনাজাত
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৩১

মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো মার্চ ফর গাজা কর্মসূচি। শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মোনাজাত শুরু হয়ে শেষ হয় ৪টার দিকে। মোনাজাত করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। ফিলিস্তিনের পক্ষে কয়েক লাখ লোক এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়।
মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো মানুষের চোখে ছিল অশ্রু। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলা, শিশু ও নারীদের মৃত্যু, ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা উপত্যকার করুণ বাস্তবতা হৃদয়ে নিয়ে মানুষ প্রার্থনা করেন শান্তির জন্য।
মোনাজাতে বলা হয়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, তা মানবতার ওপর চরম আঘাত। আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, যেন তিনি নির্যাতিত মুসলমানদের রক্ষা করেন এবং ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতার আলো দেখান।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টা নাগাদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় বক্তা, ধর্মীয় সংগঠনের প্রধান, সামাজিক সংগঠনের নেতারা স্টেজে উপস্থিত হন।
পরে ফিলিস্তিনের মুক্তি চেয়ে ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন’ বলে স্লোগান তোলেন মাওলানা মামুনুল হক, ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ একাধিকজন।
মোনাজাতের আগে মঞ্চে থেকে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী, শায়খ আহমদুল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, আমার দেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহেদুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সাদিক কায়েম, খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক, অ্যাক্টিভিস্ট সাইমুম সাদি, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজী ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, বিএনপির জ্যৈষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আব্দুল মালেক।
এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সোহরাওয়র্দী উদ্যানে জড়ো হন। শাহবাগ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, মৎসভবন, দোয়েল চত্বরসহ বিভিন্ন স্থানে মানুষকে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
কোনো মিছিল আসে শাহবাগের দিক থেকে, কোনোটি দোয়েল চত্ত্বরের দিক থেকে, কোনোটি আবার আসে নীলক্ষেতের দিক থেকে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রতিটি প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকরা কর্মসূচি সুশৃঙ্খল রাখতে তৎপর ছিলেন সকাল থেকেই।
দলমত নির্বিশেষে নানা বয়সী মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। শুধু ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি জানানো নয়, বরং মানবতার পক্ষেও এই অবস্থান বলে জানান অনেক অংশগ্রহণকারী। তারা জানান, ফিলিস্তিনে মুসলমানদের ওপর যেভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, তা সহ্য করা যায় না। তাই প্রতিবাদ জানাতে আজ এখানে এসেছি।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।