চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে খুন-সহিংসতা বৃদ্ধি, নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ

চলতি বছরের প্রথম আট মাসে দেশে খুনের ঘটনা ঘটেছে ২,৬১৪টি, যা প্রতিদিন গড়ে ১১ জনের প্রাণহানি নির্দেশ করছে। একই সময় ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায় ২ হাজার।

রাজনৈতিক সহিংসতা ও অশান্তিও বেড়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৩১০টি, যার ফলে প্রাণহানি হয়েছে ৭৯ জনের। খাগড়াছড়িতে সম্প্রতি গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “বিগত সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানসিকভাবে দুর্বল, তাই নির্বাচনের আগে এ সুযোগ ব্যবহার হতে পারে।”

অপরাধ বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, লুট হওয়া অস্ত্রও নির্বাচনকালীন নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। সমাজ ও অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, “নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যারা দৃষ্টান্তমূলক ও কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবেন না, নির্বাচন সুষ্ঠু করা কঠিন হবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, তারা নির্বাচন আয়োজনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস. এন. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে অফিসার ও ফোর্সদের প্রশিক্ষণ চলছে। জনসম্পৃক্ততা বাড়িয়ে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রতিরোধ করা হবে।”

পুলিশ সতর্ক করেছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্র ও মব তৈরির বিষয়ে, তবে জনগণই এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।