লটারির মাধ্যমে এসপি নিয়োগে মেধাবীরা বাদ পড়েনি: মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, লটারির ভিত্তিতে পুলিশ সুপার (এসপি) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মেধাবী কেউ বাদ পড়েননি।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে এডিপি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি রয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে কমানো সম্ভব হয়নি। তবে সরকার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুর্নীতি কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায়নি, তবে কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”

এসপি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি জানান, দেশের ৬৪ জেলার এসপিদের বিভিন্ন জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ, বি ও সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। আগের এসপি পদত্যাগের পর নতুন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং বাকিদের বিভিন্ন জেলায় লটারির মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়েছে।

এর আগে, ২৪ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’-তে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৬৪ জেলার এসপি চূড়ান্ত করতে লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশের এক সূত্র জানায়, সাধারণত ৩ বছরের জন্য কোনো জেলায় এসপিদের পদায়ন করা হয়। নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে যায় এবং প্রয়োজনে বদলি-পদায়ন করা হয়।

সূত্র আরও জানায়, লটারির আগে মূলত পুলিশ ক্যাডারের ২৫, ২৭ ও ২৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি ‘ফিট লিস্ট’ তৈরি করা হয়। সেই তালিকায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে ৬৪ জনকে নির্বাচিত করা হয়। আগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকার বাইরে রাখা হয়।

এনএফ৭১/ওতু