ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সোমবার স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি সংবাদ লিংক শেয়ার করে জানিয়েছেন, দেশ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

শফিকুল আলম বলেন, কিছু সমালোচক যেমন জিল্লুর রহমান নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে না বলে মন্তব্য করছেন, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। নির্বাচন কমিশন খুব শিগগিরই তফশীল ঘোষণা করবে। তিনি জানান, নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সবসময়ই স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে রেকর্ডসংখ্যক বাহিনী এবং অভূতপূর্ব মাত্রায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নতুন ডিসি ও এসপি নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে এবং এগুলো নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য প্রশ্ন উঠেনি।

প্রেস সচিব আরও জানান, নির্বাচনী প্রচারণা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সামগ্রিকভাবে নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে, যদিও কিছু অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে। জুলাই চার্টার গ্রহণের পর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত তৈরি হওয়ায় দলগুলো একই সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

শফিকুল আলম জিল্লুর রহমানের মন্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, কেন তিনি অতীতের ১৯৯৬, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তিনি উল্লেখ করেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে না রাখলে তা ‘অংশগ্রহণহীন’ বা ‘অবিশ্বাসযোগ্য’ হয়—এ ধারণার সঙ্গে সরকার একমত নয় এবং অধিকাংশ নাগরিকও তা সমর্থন করেন না।

প্রেস সচিব আরও বলেন, সাম্প্রতিক অনলাইন ভিডিওগুলিতে গুজব, বিভ্রান্তি ও ষড়যন্ত্রের প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

সবশেষে শফিকুল আলম বলেন, মানুষ নিজের যুক্তি ও বিবেচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করবে, ইনশাআল্লাহ।

এনএফ৭১/ওতু