'আগরতলামুখী লংমার্চে জনস্রোত'

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩১

ছবি: সংগৃহীত

'এক টেবিলে বাংলাদেশ ভারত-চীন'

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, 'এক টেবিলে বাংলাদেশ ভারত-চীন'।  প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটির একের পর এক এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে। কোণঠাসা হয়ে পড়েছে সেখানকার জান্তা সরকার।

বিশেষ করে সীমান্ত অঞ্চলগুলো বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। দু'দিন আগে বাংলাদেশ ঘেঁষা রাখাইনের প্রায় ৯০ শতাংশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি করেছে বিদ্রোহীরা।

উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং সীমান্তবর্তী দেশগুলোর করণীয় ঠিক করতে মিয়ানমারের আশপাশের দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের একটি ইনফরমাল বৈঠক বসছে ব্যাংককে।

বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এবং বৈঠকটি ১৯শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

জরুরি ওই আলোচনায় এক টেবিলে বসছে বাংলাদেশ-ভারত ও চীন। সেখানে পূর্ব তিমুরও অংশ নিতে পারে বলে জানা গেছে। বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর থাকবেন এ বিষয়েও নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। তবে চীনের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় রয়েছে ঢাকা।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, 'Tension, fear on Teknaf frontier' অর্থাৎ, 'টেকনাফ সীমান্তে উত্তেজনা, আতঙ্ক'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, আরাকান আর্মির রাখাইন রাজ্য দখল এবং বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের খবরে কক্সবাজারের স্থানীয় ও রোহিঙ্গারা আতঙ্কে রয়েছে।

নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে টেকনাফ উপজেলা প্রশাসন টেকনাফ ও মিয়ানমার ভূখণ্ডের মধ্যে বয়ে যাওয়া নাফ নদীতে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এ কারণে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যে মানুষ ও সরবরাহ বহনকারী নৌকাগুলো বৃহস্পতিবার চলাচল করেনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিয়ানমারের জান্তা এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াই চলছিল।

স্থানীয়রা বলছেন, রোববার থেকে সেখানে কোনো বোমা হামলা হয়নি, তবে সামরিক বিমানগুলো প্রায়ই সীমান্তের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়েছে। তবে বাংলাদেশে যেকোন অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সতর্ক থাকার কথা জানিয়েছে।

এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা নেতারা। তারা বলেন, "আমরা আরাকান সেনাবাহিনীর সাথে বসতে চাই এবং আমাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলতে চাই।"

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, 'আগরতলামুখী লংমার্চে জনস্রোত'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধ করার দাবিতে ঢাকা থেকে আগরতলা অভিমুখে আখাউড়া সীমান্তে লংমার্চ করেছে বিএনপি ও দলটির তিন অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

বুধবার সকাল ৯টায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে এ লংমার্চ শুরু হয়। যা যাত্রাবাড়ী, কাঁচপুর ব্রিজ, নরসিংদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরে (সীমান্তে) সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

লংমার্চ ঘিরে সীমান্ত এলাকায় ছিল কড়া নিরাপত্তা। কাস্টমস এলাকা পর্যন্ত লোকজনকে আটকে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। লংমার্চে অংশগ্রহণকারীদের দাবি, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এই লংমার্চে তারা অংশ নিয়েছেন।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সমাবেশ থেকে ভারতকে প্রভুত্ব ছাড়ার বার্তা দিয়ে বন্ধুত্বের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।

এক পর্যায়ে নেতারা ভারত সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে গণতান্ত্রিক চর্চার যে নতুন পথ শুরু হয়েছে, তাকে আপনারা সমর্থন করুন। শেখ হাসিনাকে আর প্রশ্রয় দেবেন না।

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, 'Low demand exposes many vulnerabilities' অর্থাৎ, 'কম চাহিদা অনেক দুর্বলতা প্রকাশ করে'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে ডিসেম্বরে শীত পড়ার পর থেকে বিদ্যুতের চাহিদা তিন চতুর্থাংশেরও বেশি কমে এসেছে। শীত তীব্র হওয়ার সাথে সাথে আগামী দিনগুলোতে বিদ্যুতের চাহিদা আরও কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই চাহিদা কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের অতিরিক্ত উৎপাদন বা ওভারক্যাপাসিটির সমস্যা আরো খারাপ রূপ নিতে পারে, যা ২০২৩ সালের মধ্যে ১৫ বছরে এক লাখ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি করেছে।

বাংলাদেশের বর্তমান স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা ২৭ হাজার ৭৪০ মেগাওয়াট। বুধবার সকালে ৫ টায় সর্বনিম্ন বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ছয় হাজার ৭৭১ মেগাওয়াট।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকার বিদ্যুৎ খাতে ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে, এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাকে পাঁচ গুণেরও বেশি বাড়িয়েছে। তবে জ্বালানি সংকটের কারণে এই কেন্দ্রগুলো পূর্ণ ক্ষমতায় কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতীয় গ্রিডের দুর্বল অবস্থার পাশাপাশি, শিল্প বিদ্যুতের ঘাটতির আরেকটি কারণ হলো ক্যাপটিভ পাওয়ার উৎপাদনকে উৎসাহিত করার জন্য আওয়ামী সরকারের নীতি।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, 'সংস্কারের বহু উদ্যোগেও লুণ্ঠন বন্ধ করা যায়নি'।প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, স্বাধীনতার পর থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো সংস্কারে নানা উদ্যোগ ও নানা প্রকল্প হাতে নেয়া হলেও সরকারের মালিকানাধীন এ ব্যাংকগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি-ঋণখেলাপী থামেনি।

সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী—এ চারটি ব্যাংককে দেখা হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রধান বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে। ব্যাংকগুলোর মালিকানার ধরন ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার দৃশ্যমান প্রক্রিয়া শুরু হয় ১৯৮৬ সালে।

ওই বছর রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংককে কোম্পানিতে রূপান্তর করা হয়। তালিকাভুক্ত করা হয় দেশের পুঁজিবাজারে। শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে ব্যাংকটির মালিকানায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়।

যদিও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ৩৮ বছর পার হলেও ব্যাংকটির পরিচালনার ধরনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এরপর ১৯৯২, ২০০৪ এবং ২০০৭ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন সংস্কারই ব্যাংকগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারেনি।

বরং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদের পাশাপাশি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) ক্ষমতা পেয়ে নিয়োগপ্রাপ্তরা আরো বেশি অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। ঋণের নামে ব্যাংকের অর্থ লোপাটে প্রভাবশালীদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছেন তারা।

সংশ্লিষ্টদের মতে, নভেম্বর শেষে এ ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রধান চার ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার হবে অন্তত ৫০ শতাংশ।

এর প্রভাবে চার ব্যাংকেরই মূলধন ঘাটতি তীব্র হয়ে উঠেছে। যথাযথ সঞ্চিতি (প্রভিশন) রাখা হলে বছর শেষে সবক'টি ব্যাংকই বড় লোকসানে পড়বে।

আজকের পত্র্রিকার প্রধান শিরোনাম, '৬৩ লাখ বেকারের ৮৭ শতাংশ শিক্ষিত'। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) শ্রমশক্তি জরিপ-২০২৩-এর তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

ওই জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬৩ লাখই বেকার। আর এই বেকারদের ৮৭ শতাংশই শিক্ষিত বেকার। আর ২১ শতাংশ বেকার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েও কোনো কাজে যুক্ত নন।

জরিপের তথ্য বলছে, ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী তরুণেরাই বেশি বেকার, যার সংখ্যা ৩৮ লাখ। বাংলাদেশের এই বেকারকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগ হচ্ছে, কাজ করতে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন এবং সক্রিয়ভাবে কাজ খুঁজছেন। এ রকম বেকারের সংখ্যা ২৬ লাখ ২৫ হাজার, যা মোট বেকারের ৪১ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হলো, সব যোগ্যতা রয়েছে। তারপরও সপ্তাহে সাত থেকে ৪০ ঘণ্টা কাজ করছেন। অর্থাৎ, যোগ্যতা ও চাহিদা অনুসারে কাজ করতে পারছেন না। এমন মানুষের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬১ হাজার, যার মোট বেকারের ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

এই ক্যাটাগরির উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, একজন স্নাতক পাস শিক্ষার্থী টিউশনি করছেন। সপ্তাহে ছয় ঘণ্টা কাজ করছেন। কিন্তু, তার যোগ্যতা রয়েছে ৪৮ কিংবা ৫৬ ঘণ্টা কাজ করার।'

তৃতীয় ক্যাটাগরি হচ্ছে, শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে, কিন্তু চাকরি খুঁজছেন না। কিংবা চাকরি খুঁজছেন, কিন্তু চাকরির জন্য অতিরিক্ত যোগ্যতা প্রয়োজন, যা তার নেই। এ রকম বেকারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭১ হাজার, যা মোট বেকারের ১৮ দশমিক ৭২ শতাংশ।

ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, '1 in 8 undernourished in Bangladesh' অর্থাৎ 'বাংলাদেশে প্রতি আট জনের মধ্যে এক জন অপুষ্টির শিকার'।   প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রতি আট জনের এক জন মানুষ এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী এক চতুর্থাংশ শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে।

জাতিসংঘের মতে, কেউ যদি এক বছরে তার ন্যূনতম শক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত খাবার না পায় তাহলে তিনি অপুষ্টিতে ভুগছেন বলে ধরা হয়। এই চ্যালেঞ্জের মধ্যেও, গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্সে আনুমানিক ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৪তম স্থান অর্জন করেছে। এই অবস্থান প্রতিবেশী-ভারত (১০৫তম স্থান) এবং পাকিস্তান (১০৯তম স্থান) থেকে উপরে।

মূলত ১২৭টি দেশকে পাঁচটি বিভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে: নিম্ন ক্ষুধা, মাঝারি ক্ষুধা, গুরুতর ক্ষুধা, উদ্বেগজনক ক্ষুধা এবং অত্যন্ত উদ্বেগজনক ক্ষুধা। বাংলাদেশের স্কোর ১৯ দশমিক চার, যা বাংলাদেশকে একটি মাঝারি স্তরের ক্ষুধার্ত দেশ হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে, যেখানে ভারত এবং পাকিস্তান উভয়কেই গুরুতর ক্ষুধার্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

জরিপটি চারটি মূল সূচক ব্যবহার করে দেশগুলোকে র‌্যাঙ্ক করে: অপুষ্টি, শিশুমৃত্যু, শিশুর উচ্চতা অনুযায়ী কম ওজন), এবং শিশুর স্টান্টিং (বয়স অনুপাতে কম উচ্চতা)।

ক্ষুধা মোকাবেলায় বাংলাদেশের অগ্রগতি স্পষ্ট হলেও, মাঝারি স্কোর করায় অপুষ্টি মোকাবেলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের যে আরো অনেক করার আছে তাতে বিতর্ক নেই।

কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'ভূমিসেবা পেতে কোটি মানুষের ভোগান্তি'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গত ১৬ দিন ধরে ভূমির সফটওয়্যার জটিলতায় মহানগর, নগরসহ পুরো দেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের কোটি ভূমি মালিক।

অনলাইনে ভূমির নামজারি, পরচা করা যাচ্ছে না। খাজনার রসিদও কাটা যাচ্ছে না। এই দুটি কাজ করতে না পারায় জমি কেনাবেচাও করা যাচ্ছে না। আবার পুরনো আবেদনকারীদেরও সমস্যার মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় দ্রুত নামজারি, পরচা ও খাজনা পরিশোধের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ভূমি মালিকরা।

এ বিষয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, 'আগে ভূমিকর, খাজনা, খতিয়ান ও অন্যান্য ভূমিসেবার জন্য পাঁচ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হতো। এখন একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভূমিসংক্রান্ত সব সেবা দেওয়া হবে'।

পাঁচটি সফটওয়্যার একীভূত হওয়ায় সার্ভার জ্যাম হয়ে গিয়েছে। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে বলে তিনি জানান। দেখা গিয়েছে, গত ২৬শে নভেম্বর থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত এসব অফিসে নামজারি, পরচা ও খাজনা পরিশোধের কোনো আবেদন জমা পড়েনি।

দু-একটি অফিসে ১৬ দিনে চার-পাঁচটি আবেদন জমা হলেও সেগুলো সমাধান করা যাচ্ছে না সফটওয়্যার জটিলতায়। অথচ এ সমস্যার আগে প্রতিদিন ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি সহকারী ভূমি অফিসে গড়ে ৫০ থেকে ১০০টি নামজারি পরচা ও খাজনা পরিশোধের আবেদন জমা পড়ত।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'ইসরায়েলের বেপরোয়া হামলা, সংঘাত নতুন মোড় নিতে পারে'। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হওয়া পর ধারণা করা হয়েছিল দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরবে। তবে ইসরায়েলের একের পর এক বেপরোয়া বিমান হামলায় তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে সিরিয়ার সংঘাত নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টায় দেশটির রাজধানী দামেস্ক ছাড়াও হোমস, তারতাস, পালমিরা, লাতাকিয়া, দেইর আজোরের মতো শহরে অন্তত ৪৮০টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এসব হামলার লক্ষ্য ছিল দেশটির যুদ্ধজাহাজ, বিমানঘাঁটি, সামরিক যান, বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা, অস্ত্রাগারসহ বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা। এই সময়ে সিরিয়ার ১৪টি প্রদেশের ১৩টিতে হামলা চালায় ইসরায়েল।

বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মাত্র ১২ দিনের ঝটিকা আক্রমণে গত রোববার বাশার আল-আসাদ সিরিয়া ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নেয়ার পর থেকে দেশটিতে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের বিমানবাহিনী সিরিয়ায় বড় ধরনের হামলা চালিয়ে এবং সেনারা দেশটির ভূখণ্ডে ঢুকে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তাঁরা 'নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল' প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। সিরিয়ার সামরিক সক্ষমতা গুঁড়িয়ে দিতেই এ হামলা বলে মনে করে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংস্থা।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top