বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ৩২৭ সদস্য

সীমান্তে নিজেদের অবস্থান নিয়ে যা বললেন বিজিবির মহাপরিচালক

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৪:২৯

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি ও মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি। মিয়ানমারের এই সংঘাতময় পরিস্থিতির প্রভাব বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন এলাকায়ও পড়ছে।

তাই চলমান পরিস্থিতি পরিদর্শনে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্তে যান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। পরিদর্শন শেষে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিজিবি মহাপরিচালক।

এ সময় তিনি জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে সামরিক জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তুমুল লড়াই চলছে। যা দেশটির অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তবে ওই সংঘর্ষের মধ্যে মিয়ানমার থেকে আসা গুলিতে বাংলাদেশিরাও আহত হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গত সোমবার ঘুমধুম সীমান্তের জলপাইতলীতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, ‘মিয়ানমারের২৬৪ বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা ধৈর্য ধারণ করে মানবিক দিক থেকে আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘৫ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী এই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আমাদের ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তুমব্রু সীমান্তে যান বিজিবি মহাপরিচালক। এরপর তিনি সেখান থেকে তমব্রু বিওপিতে যান তিনি। সেখানে তিনি সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি যান ঘুমধুম সীমান্তে। সেখানে তিনি সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম জানান, মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি), সেনাবাহিনী ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের মোট ৩২৭ জন সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে ঘটনাস্থলেই এক রোহিঙ্গা শ্রমিক (৫৫) নিহত হন।

এদিকে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৬৪ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানান বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম।

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top