কাঠগড়ায় ফুঁপিয়ে কাঁদলেন তুরিন আফরোজ, সান্ত্বনা দিলেন ইনু
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৩৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তুরিন আফরোজ। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় এই আইনজীবীকে। এজলাসে দাঁড়িয়ে তিনি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদেন। এ সময় তাকে সান্ত্বনা দেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে যখন তুরিন আফরোজ আদালতে উপস্থিত হন, তখন তার পরনে ছিল হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। প্রথমে তাকে হাস্যোজ্জ্বল দেখা গেলেও কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পর তার চোখের কোনা ভিজে ওঠে। তিনি ধীরে ধীরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তার কান্নার মুহূর্তে পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সান্ত্বনা দেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা তানভীর হাসান সৈকত।
আদালতে শুনানির সময় তুরিনের আইনজীবী বিচারকের উদ্দেশে বলেন, তুরিন আফরোজকে নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি নিজে কিছু বলতে চান। বিচারকের অনুমতি পেয়ে তুরিন বলেন, আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি কেবল আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছি, কখনো কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলাম না। বর্তমানে আমি গুরুতর শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছি। আমি ঠিকভাবে হাঁটতেও পারি না।
তবে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী তার বক্তব্যকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, তিনি আদালতে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। উত্তরে তুরিন আফরোজ বিচারকের সামনে নিজের পায়ের নির্যাতনের চিহ্ন দেখান।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান তাকে উত্তরা পশ্চিম থানার মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখান। এরপর পুলিশ পাহারায় তাকে হাজতখানায় নেওয়া হয়। তখনও মুখে হাসি থাকলেও তিনি আর কোনো কথা বলেননি।
গত ৭ এপ্রিল রাতে উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক শিক্ষার্থী আব্দুল জব্বারকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ৮ এপ্রিল আদালত তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ১২ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকেই তাকে আদালতে আনা হয়েছিল আজ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।